নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার পৌরসভার মধ্যে ৪নং ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। গত ৩ বছরে এখানে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। এখানকার সব সড়ক-উপসড়ক চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে জল—কাদায় হাবুডুবু খাচ্ছে এলাকার মানুষ।
এখানকার সব এলাকার অবস্থা শোচনীয়। পূর্ব টেকপাড়া, মধ্যম টেকপাড়া, বার্মিজ স্কুল রোড, হাঙর পাড়া, টেকপাড়া চৌমুহনী থেকে চাউল বাজার পর্যন্ত সড়ক চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় অসংখ্য গর্ত। ফলে সীমাহীন কষ্ট নিয়ে পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে।টেকপাড়ার কালুর দোকান থেকে হাঙরপাড়া সড়কের করুণ অবস্থা। কালুরদোকান থেকে পাহাড়তলী ও বড়ুয়া পাড়ার নোংরা পানি এসে ঢুকছে বড়পুকুর রোডে। পাহাড়ি মাটি ও আবর্জনায় ব্যাহত হচ্ছে পানি চলাচল। যার দরূন নালার ময়লা পানি উঠে জমে আছে রাস্তায়। সড়কে জমে থাকা পঁচা পানির কারণে মানুষ হাটবাজার, অফিস ও মসজিদে যেতে পারছে না। কাঁদাজলে ঘরবন্দী বৃহত্তর টেকপাড়ার মানুষ। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে বার বার তাগাদা দিয়েও কোন সুরাহা পায়নি স্থানীয়রা। নিরূপায় হয়ে বিষয়টি কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃর্পক্ষকে জানান এলাকাবাসী।
টেকপাড়ার মানুষের দুঃখ শুনে শুক্রবার বিকালে ছুটে আসেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তপক্ষের চেয়ারম্যান। তিনি কালুরদোকান থেকে টেকপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ড্রেন পরিস্কারসহ নানা প্রতিশ্রুতি দেন।
এসময় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল ( অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, এটি আমার দায়িত্বে মধ্যে পড়ে না। তবুও পৌর এলাকার মানুষ হিসেবে দায়িত্ববোধ থেকে টেকপাড়ার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কালুরদোকান থেকে টেকপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত নালা পরিস্কার করা হবে। যাতে নালার পানি আর রাস্তায় জমে না থাকে। পাহাড়তলী থেকে যাতে টেকপাড়ায় পানি প্রবেশ না করে সেজন্য কালুরদোকান থেকে ড্রেনের মুখ তারাবনিয়ারছড়ার বড় ড্রেনের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন টেকপাড়া সোসাইটির উপদেষ্টা মাষ্টার সৈয়দ আহমেদ, আবদুল খালেক, ইফতেকার উদ্দিন চৌধুরী, ব্যাংকার মাসুদুর রহমান, মোবাসেরুল ইসলাম সোহেল, এড, আবু সায়েম টেকপাড়া সোসাইটি সভাপতি এম জাহেদ উল্লাহ, সহ সভাপতি মিজানুর রহমান, সাইফুল ইসলাম রনি, দক্ষিণ টেকপাড়া হাউজিং সোসাইটির সভাপতি নুরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক ব্যাংকার রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, এড,আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল উল আলম, যুগ্ম সম্পাদক জাবেদ উল্লাহ মিয়া, রিসাদ, অর্থ সম্পাদক ইউসুফ জামিল, সাইফুল ইসলাম, তাহসিন, শৈশবসহ টেকপাড়া সোসাইটির সদস্যরা।
টেকপাড়া সোসাইটির সভাপতি এম. জাহেদ উল্লাহ বলেন, কক্সবাজারের শৌর্যবীর্য ছিল টেকপাড়া। কিন্তু ভাঙাচোরা সড়ক আর কাঁদাজলে বৃহত্তর টেকপাড়ার সেই ঐতিহ্য বিলীনের পথে। তাই এতিহ্যবাহী এই এলাকার গৌরব সমৃদ্ধ করতে জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সম্মিলিত প্রয়াস চায় এলাকাবাসী।