নাছির উদ্দীন রাজ ।
কক্সবাজার টেকনাফ শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরে চার এতিম শিশুর বুক ফাটা আহাজারিতে ভারি হয়ে আছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা । প্রতিদিন ঐ চার শিশুদের মা মা কান্নার চিৎকার শুনে তাদের শান্তনা দিতে আসেন ক্যাম্পের অনেক নারী। কিন্তুু হাজরো শান্তনা কি নিজ মায়ে সান্নিধ্যের একফুটা ভালবাসার শান্তনা পূরণ করতে পারবে কোন নারী ! গত ৩ নভেম্বর শালবাগান ২৬ নং ক্যাম্পের সি ব্লগ ৬ নং রোহিঙ্গা শিবিরে রাতে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর হাতে খুন হন (স্ত্রী) ঐ চার সন্তানের মা মোবারজান (৩৪) । পরে পুলিশের হাতে আটক হন ঘাতক স্বামী জাফর (৪০)। তাদের সংসারে কেউ না থাকায় চার শিশু কে মায়ের দাপন কাপনের শেষে নিয়ে আসেন নানার বাড়িতে। এখন থেকে এতিম চার প্রাণ থাকবে নানির দায়িত্বে বলে জানাগেছে। নানির সাথে কথা বললে তিনি যুগান্তর কে জানান , দিনে কোন মতে শান্তানা দিতে পারলেও রাতে সকলে মায়ের জন্য কেঁদে ওঠে। তবুও কোন মতে সান্তনা দিয়ে রাখার চেষ্টা করি। টাকা পয়সার অভাব হওয়ায় ভবিষ্যতে কি করে তাদেন চালাব সে চিন্ত করছি। এতিম চার শিশু হলেন, মোঃ ইরফান (১২) মোঃ কাইছের (০৭) আছমা বিবি (০৫) এবং মোঃ ইয়াচের (৭ মাস)। চার এতিমের মামা নজির আহাম্মদ যুগান্তর কে জানান, দুগ্ধ শিশু টি কে দোকান থেকে দুধ ক্রয় করে খাওয়াচ্ছি। বাকিদের আমার পরিবারে লালন পালন করছি। তবে ৭মাসের মোঃ ইয়াচের মায়ের জন্য কেঁদে উঠলে অপর ভাই বোন দের সান্তনা দিতে কষ্ট হয়। কিন্তুু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন মানবিক এনজিও সংস্থা থাকলেও এ পর্যন্ত তাদের সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেনি। ঐ ক্যাম্পের সি ৪ এর মাঝি শেখ আহাম্মদ যুগান্তর কে জানান, চার এতিম শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্যার জন্য সিআইসি,পুলিশ, হেড মাঝি সহ অনেক কে জানিয়েছি তবে এখনো কোন ছাড়া মিলেনি। স্থানীয় রোহিঙ্গা বলছেন, মা হারা ঐ চার এতিম শিশু হয়তো চিরতরে হারিয়েছে মায়ের স্নেহে বেড়ে উঠার সুযোগ , বাবাও জেল থেকে এসে তাদের লালন পালন করবে সে আশাও নেই তাদের । তবুও যেন তারা বড় হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পে আশ্রিত অনান্য রোহিঙ্গাদের মত সুযোগ সুবিধা পায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পায় সে কামনা করব।