এম এ হাসান:
কক্সবাজারের টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে ৭কোটি ৭৪ লাখ টাকা মূল্যের ২লাখ ৫৮ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ বাংলাদেশি ও ২ মায়ানমারের ইয়াবা কারবারিকে আটক করেছে। আটককৃত হলেন, মো: জাহাঙ্গীর আলম (৪২) পিতা: মো: রবিউল ইসলাম, ফুলের ডেইল, হ্নীলা, টেকনাফ, কক্সবাজার। হাফেজ আহমদ (৪০) পিতা: মৃত কালো মিয়া, শাহপরীর দ্বীপ, টেকনাফ, কক্সবাজার। ছেওয়াচি (৩৮) পিতা: মৃত উ চিং য়ে, মন্দ্রাছে,আকিয়াব, মিয়ানমার। নেম ইউ চ (৩৬), পিতা: মৃত: উজান জ, দব্রিচাই,রয়েম প্রি, মিয়ানমার। গত-২৬ জানুয়ারী (বুধবার) মিয়ানমার হতে অবৈধ ভাবে একটি ট্রলার ও ৪জন ইয়াবা কারবারিসহ বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের সময় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ৩টি স্পিড বোট দিয়ে নাফ নদীতে ধাওয়া করলে ট্রলারটি টেকনাফ সাবরাং বিওপির ৫’শ গজ হতে ৪’শ গজ দক্ষিণ পূর্বের দিকে জিন্নাহখাল নামক স্থানে বালুচরে উঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে উক্ত ট্রলারে অবস্থানরত ৪জন ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবির টহল দল তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। উক্ত ৪জন ব্যক্তির জবানবন্দী অসংলগ্ন ও সন্দেহজনক হওয়ায় বর্নিত জব্দকৃত ট্রলারটিকে ২টি ট্রলারের সাহায্যে ২৭ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ঘটিকার সময় টেকনাফ জেটি ঘাটে এনে ট্রলারটিকে বিস্তারিত ভাবে তল্লাশি করার সময় ট্রলারে ইঞ্জিনের নিচ হতে অভিনব পদ্ধতিতে লুকায়িত অবস্থায় একটি বস্তুা উদ্ধার করা হয়। উক্ত বস্তার ভিতর হতে ৭৮ হাজার পিস ইয়াবা, ২জন বাংলাদেশী ও ২জন মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করা হয়। অপরদিকে গত-২৬ জানুয়ারী (বুধবার) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোয়াইক্যং খারাংখালী বিওপির বিজিবির সদস্যরা মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করবে সংবাদের ভিত্তিতে নাফ নদীর তীরে অবস্থান করে। গভীর রাতে ৫/৬ জন মাদক কারবারিকে একটি কাঠের নৌকা দিয়ে মিয়ানমার হতে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে আসতে দেখে নৌকাটি থামানোর জন্য সংকেত দেয়।মাদক কারবারিরা সংকেত উপেক্ষা করে বিজিবির টহলদলকে লক্ষ্য করে গুলিছুড়ে বিজিবিরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করলে, মাদক কারবারিরা নৌকা হতে লাফ দিয়ে নাফ নদী সাঁতারিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। টহলদল নৌকাটি তল্লাশি চালিয়ে ২টি বস্তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উক্ত বস্তায় তল্লাশি চালিয়ে ১লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। উক্ত ২টি অভিযান বিষয়ে ২৭ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ৮টায় টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার তথ্যটি নিশ্চিত করেন। আটককৃত মালামাল ও ধৃত আসামিদেরকে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে অধিনায়ক জানান।