এম এ হাসান
কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার প্রধান সড়কের পৌরসভার ২নং ও ৩নং ওয়ার্ড সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পুরাতন ট্রান্সপোর্ট এলাকায় প্রধান সড়ক দখল করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র ইট-বালি ও খোয়ার ব্যবসা করে আসছেন৷ এতে চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীরা। সড়কের দুই পাশেই ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে চলছে ইট, বালি, পাথর ব্যবসা। বাতাসে উড়ছে ধুলাবালি নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। একপাশে খোলা ডাস্টবিন ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। পথ চলতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলা পরিষদ,হাসপাতালগামী লোকজন ও রোগীদের। এ অবস্থা টেকনাফ পৌরসভার কে কে পাড়া, পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের অভিযোগ, কতিপয় ব্যবসায়ী ফুটপাত দখল করে ইট, বালি ও পাথর রাখায় সারা দিনই সড়কে উড়ছে ধুলাবালি। তা বাতাসে উড়ে আশপাশের বাসা বাড়িতে ঢুকছে। এলাকাটি টেকনাফ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের। এব্যাপারে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু হারেছ বলেন, সড়কের পশ্চিম পাশের পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে প্রধান সড়কের উপরে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র ইট, বালি,পাথর রেখে বিক্রি করে আসছে। আমি বিষয়টি পৌর মেয়রকে অবহিত করেছি। তবে আমি চাই শীঘ্রই উক্ত স্থান থেকে ইট, বালি সরিয়ে নেওয়া হোক। শনিবার (২৩ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে ইট, বালি ইত্যাদি রেখে ডাম্পার গাড়ি সড়কের উপর রেখে বিক্রি করা হচ্ছে বালি।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্তুপ করে রেখেছে বালি। এছাড়া দক্ষিণ পাশে সড়কের ওপর আছে ডাস্টবিন। এলমেলো করে রাখা আছে অনেক গুলো ময়লা রাখার কনটেইনার। সেখান থেকে প্লাস্টিকের বিভিন্ন সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে তা ঘাঁটাঘাঁটি করছেন টেকনাফ পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এতে করে বাতাসে বেশি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন পথচারীরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় দোকানদার তারেক বলেন, এমনিতেই টেকনাফ পৌরসভার সড়কে ফুটপাত দখলে রয়েছে। এই সড়কে কিছুটা ফুটপাত থাকলেও দখল করে রেখেছেন দোকান মালিকেরা। আর ধুলাবালির কারণে ঐপথ দিয়ে চলাচল করা দায়। ফুটপাত দখল হওয়ায় চলাচল করতে কষ্ট হচ্ছে ।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় ইট-বালির ব্যবসা চলছে। সড়কে বালি রাখায় সারাদিনই সড়কে ধুলাবালি উঁড়ে। জানালা খুলেলই ঘরের ভেতরে চলে আসে। ভালো কোনো কাপড় পরে এই সড়কে এলেই ময়লা হয়ে যায়। তাছাড়া সড়কে ডাস্টবিন রাখায় এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ধুলাবালির কারণে মানুষের ভোগান্তির কথা স্বীকার ও যানযট বিষয়ে ইমারত ব্যবসায়ী নুরুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তার উপরে রাখা বালি আমার নয়। তারা ৩/৪ জন মিলে সিন্ডিকেট করে সড়কের উভয় পাশে বালি ও ইট, পাথর মনু ও শাকেরের। বালি ও ইট পাথর লাইসেন্স ও অনুমতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে মোবাইল ফোন কেটে দেয়।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এরফানুল হক চৌধুরী জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ধারণা করেছিলাম সড়কের পাশে চলমান ড্রেনেজ নির্মাণ কাজের মাটি। তবে বিষয়টি দেখে জরুরি ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।