নিজস্ব প্রতিবেদক,কক্সবাজার:
কক্সবাজারের টেকনাফে টমটম চালক মোস্তাক মিয়া হত্যাকান্ডের মাস্টার মাইন্ড আব্দুর রহিমসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,ঘটনার মূল হোতা আব্দুর রহিম, আব্দুল আমিন,ফরিদ আহাম্মদ, ওমর ফারুক, সাদেকুর রহমান ও নুরুল আমিন । বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।
তিনি জানান,চলতি বছরের ৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চের মধ্যে অজ্ঞাত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে টমটম চালক মোস্তাক মিয়াকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তায় বেঁধে টেকনাফের পৌরসভাস্থ ইসলামাবাদ-অলিয়াবাদ ছোট হাজির বাগান কায়ুকখালী খালে ফেলে দিয়েছে মর্মে সংবাদ পাওয়া মাত্রই অফিসার ইনচার্জ টেকনাফ মডেল থানার নেতৃত্বে টমটম চালক মোস্তাক মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে কার্যকরী অভিযান পরিচালনা করে রহস্য উদঘাটন করে। অভিযান পরিচালনাকালে পুলিশ জানতে পারে যে, ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতনামা আসামিরা ভিকটিম মোস্তাক মিয়াকে পূর্ব পরিকল্পামতে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে লাশের গলায় বালুভর্তি প্লাস্টিকের বস্তা বেঁধে খালে ফেলে দিয়ে ভিকটিমের চালিত টমটম ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে উখিয়া থানা এলাকা হতে প্রথমে টমটম ক্রেতা ফরিদ আহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা করে পুলিশ। আসামি ফরিদ আহাম্মদের স্বীকারোক্তি মতে গোপন খবরের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল হোতা আব্দুর রহিম ও আব্দুল আমিন প্রকাশ পুতিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওসি আরো জানান, পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিমের টমটম গাড়িটি বিক্রয়ের ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তাকারী আসামি ওমর ফারুক(২৪) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে জানা গেছে, পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামি আব্দুর রহিম টেকনাফের উপরের বাজার মন্দিরের সামনে হতে ভিকটিম মোস্তাক মিয়ার টমটমটি নিয়ে অলিয়াবাদ তিন রাস্তার মোড়ে জগিরের বাড়ির পাশে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে গিয়ে আসামি আব্দুর রহিম প্রথমে লোহার রড় দিয়ে ভিকটিমের মাথায় সজোরে আঘাত করায় ভিকটিম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। এরপর আসামি আব্দুর রহিম ও পূর্ব থেকে সেখানে অবস্থান করা আব্দুল আমিন পুতিয়াসহ অন্যান্যরা ভিকটিমকে টমটমে করে কায়ুকখালী খালের নিকটবর্তী খালি মাঠে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে কাঁধে করে খালের পাড়ে নিয়ে গিয়ে প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর কাদা মাটি ভরে ভিকটিমের গলায় বেঁধে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে টমটম চালক মোস্তাক মিয়ার মৃতদেহ কায়ুকখালী খালের পানিতে ফেলে দেয়।
এভাবেই আসামিরা টমটম চালক মোস্তাক মিয়াকে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করেছে বলে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় বলে জানান ওসি।