টেকনাফ প্রতিনিধি।
টেকনাফ সদরের ত্রাস সৃষ্টিকারী পুলিশের উপর হামলার মূল হোতা সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান (প্রকাশ) মগুকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তার এক সহযোগী সহ আটক করেছে। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পুলিশ জানায়,তার বিরুদ্ধে ইয়াবা, মানব পাচার,হত্যা, নারী নির্যাতন, অস্ত্র ও পুলিশের উপর হামলা সহ প্রায় ৮ মামলা রয়েছে। গত (৪ আগষ্ট) ২০২১ ইং তারিখে টেকনাফ মডেল থানার তিন জন পুলিশ অফিসার, হাবিবুর রহমান (প্রকাশ) মগুকে আটক করার জন্য তার এলাকায় গিয়ে তারে আটক করে হাতকড়া পড়ান। এ খবর পেয়ে তার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী অবৈধ অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশদের উপর হামলা চালিয়ে পুলিশ কে আহত করে হাতকড়া পরা অবস্থায় মগুকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিন পুলিশ অফিসার গুরুত্বর আহত হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে হাবিবুর রহমান (প্রকাশ) মগু কে প্রধান আসামি ও তার নিকটতম আত্মীয় সহযোগী উক্ত ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মাওলানা ছৈয়দুল ইসলামকে ২নং আসামি সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং -১৯ (০৪-০৮-২০২১)। পরের দিন ইউপি সদস্য মাঃ ছৈয়দুল ইসলাম সহ একাধিক আসামি আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। কিন্তু প্রধান আসামি মগু থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ঘটনার পর হইতে দীর্ঘ দিন মগু পলাতক ছিল অবশেষে পুলিশের জালে ৫০ হাজার ও তার এক সহযোগী সহ আটক করে পুলিশ। তার আটকের খবরে উক্ত এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে এলাকা বাসীর সূত্রে জানা গেছে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন উখিয়া -টেকনাফ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান সহ সঙ্গীয় অফিসার গণ উপস্থিত ছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, তার অপরাধ জগতের মূল নিয়ন্ত্রণকারী ছিলেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার ছৈয়দু। আটক মগুকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞেস করা হলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।