নিজস্ব প্রতিবেদক।
মুহাম্মদ রাসেল প্রকাশ ডন রাসেল ।ইয়াবা ব্যবসা করে অতি পরিচিত হওয়ায় এলাকায় ইয়াবার ডন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ।তাই ইয়াবাডন রাসেল বা ডন রাসেল হিসেবে গ্রামে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে ।৩০ বছর বয়সি এই রাসেল মাদক ব্যবসা করে এখন কোটিপতির কাতারে ।গড়েছে অঢেল সম্পদের পাহাড় । মাদক ব্যবসা দেদারছে চালাতে লালণ করছে অস্ত্রধারী ক্যাডারও।তার লালিত লোকদের মাধ্যমে এলাকায় চালাচ্ছে ত্রাসের রাজত্ব ! ভয়ে সাধারণ মানুষ এদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করে না।
মাদক কারবারী রাসেল টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের মৌলভী আব্দুল গফুরের ছেলে ।
টেকনাফ থানার মামলা নং-৫৪তাং২২-২-২১/মামলা নং-৩২তাং২৩-৬-১৮/মামলা নং -১০৪ তাং২৫-১১-১৮/মামলা নং-৫৫তাং২৭-১২-২০০৪/ জি আর মামলা নং ৮২২/২১, থানার মামলা নং-৭১তাং২১-৯-২১/ জি আর মামলা নং ৮২৩/২১, মামলা নং ৭২ তাং২১-৯-২১ সহ মাদক কারবার ও বিভিন্ন অপরাধের দায়ে টেকনাফ মডেল থানা এবং আদালতে তার বিরুদ্ধে রয়েছে ডজনখানেক মামলা ।রয়েছে একাধিক অভিযোগও ।
ডজন মামলার বোঝা মাথায় থাকার পরেও থামছেই না তার জমজমাট ইয়াবা ব্যবসা।ইয়াবা ব্যবসার পাশাপাশি এখন আইস কারবারেও জড়িয়েছে বলে জানা গেছে ।ক্রিস্টালমেথ বা আইসে ইয়াবার চেয়ে দ্বিগুন লাভ হয় ।তাই অতি সহজে অবৈধ টাকার পাহাড় গড়তেই আইস ব্যবসায় জড়িয়েছে বলে জানা যায়। আইস আর ইয়াবা বিক্রির কালো টাকার গরমেই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত মাদক কারবারী ও বহু মামলার আসামি এই রাসেলের বিরুদ্ধে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই ইয়াবা ব্যবসায়ী রাসেল গেল ২০ ফেব্রুয়ারি ২১ সালে সাবরাং সিকদার পাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ী ওমর ফারককে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেছে । দ্রুত স্থায়ীরা এগিয়ে এসে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে কোনো রকম তাকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে ।
ইয়াবাডন রাসেলের ত্রাসের কারণে এলাকায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলে না কেউ ।
এদিকে গেল ১০ জানুয়ারি ২০২২, মৌলভী পাড়া এলাকা থেকে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬০ হাজার ইয়াবাসহ একরাম প্রকাশ একাম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তিতে গ্রেপ্তার করেছে ।ওই ৬০ হাজার ইয়াবার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রাসেল কে ৩ নাম্বার আসামি করা হয়েছে । এখন সেই মামলার চার্জশিট থেকে রাসেলের নাম বাদ দেয়ার জন্য বিভিন্ন নেতাদের মাধ্যমে থানায় তদবির চালাতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে বলে জানা গেছে ।৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের সাথে সংশ্লিষ্ট একজন অফিসারের কাছে চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেয়ার কথা জানতে চাইলে বলেন অনেকে তদবির করতেই পারে ,তবে চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেয়ার প্রশ্ন-ই আসে না বলে জানান ওই অফিসার ।
মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে গেলে এসব ইয়াবার বড় বড় গডফাদারদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন সচেতন মহল ।এসব ইয়াবার ডনদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সুধী সমাজ ।