সাইফুদ্দীন আল মোবারক
টেকনাফের হ্নীলা মৌলভীবাজারে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে মৎস্যঘের দখল করতে গিয়ে দু,পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে ।এতে কিরিচের কুপ ও গুলিতে একপক্ষের ৫জন ও অপর পক্ষের ১জনসহ উভয়পক্ষের ৬জন রক্তাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে । প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ও দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে মহড়া দেওয়াতে এলাকায় ভীতিকর এক পরিবেশ সৃষ্ট হয়েছে।এদিকে অস্ত্র হাতে গুলি বর্ষণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠেছে । অস্ত্রধারী ব্যক্তি নয়াবাজার কাঁচারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে শামশুল আলম বলে জানা গেছে ।এই সন্ত্রাসীরা এসব অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে নয়াবাজার,খারাংখালী এলাকা দিয়ে বড় বড় ইয়াবার চালাল খালাস করে বলেও জানান অনেকে । এই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
জানা যায়,শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলার হ্নীলা মৌলভী বাজারস্থ মুসলিম পাড়ার পূর্ব পাশে লম্বাগোদা নামে নিজস্ব ভোগদখলীয় মৃত সোলতান আহমদ বাদশাহর মৎস্যঘেঁরে কাজ করার সময় স্থানীয় মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র দুদু মিয়া (৪৫) এসে কর্মরত লোকজনকে মৎস্যঘেঁর থেকে চলে যেতে বলে।
এসময় ঘেঁরে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে দুদু মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র ভোলা মিয়া (৪০), সোনা মিয়া (৫০), সোনা মিয়ার পুত্র রাশেদ মিয়া (২২), মোঃ বাহাদুর (২৫), নয়াবাজার কাঁচার পাড়া হতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র শামসুল আলম (৩০)সহ ১৫-২০জনের স্বশস্ত্র গ্রুপ দেশীয় অবৈধ অস্ত্র, কিরিচ ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় ।
এতে মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র আব্দুল আজিজ (৫০) কে গুলিবর্ষিত হয় ও কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে মোহাম্মদ আলী (৪৫), মীর কাশেমের পুত্র জয়নাল (৩০), মৃত সোলতান আহমদের পুত্র আনোয়ার হোছন (২৪), লোহার রডের আঘাতে মৃত মঞ্জুরের পুত্র ছালামত উল্লাহ (৪০) রক্তাক্ত হয়। বাঁধা দিতে গিয়ে হামলাকারী পক্ষের মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র দুদু মিয়া আহত হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে গুলিবিদ্ধ ও রক্তাক্তদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা ও জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় মোহাম্মদ আলী গংয়ের পক্ষ থেকে টেকনাফ মডেল থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
স্থানীয় মেম্বার বেলাল উদ্দিন জানান, স্থানীয় মোহাম্মদ আলী মৎস্যঘেঁরে মাছ ধরতে গেলে দুদু মিয়া গং বাঁধা প্রদান করে। তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনায় এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার সাধারণ মানুষ জানান, এই ঘটনায় প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীকে সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবী উঠেছে।