বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মহেশখালীতে নবাগত ইউএনও সাথে সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় কক্সবাজার পৌর, সদর ও রামু উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত, নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন মহেশখালীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ চকরিয়ায় হাইব্রীড ধান ও উফশী সার পেয়ে খুশিতে উৎফুল্ল উপকারভোগী কৃষকেরা চকরিয়ায় উপজেলা কৃষকদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এখন কক্সবাজারে। নাফ নদে সতর্কতা জারি করে মাইকিং মহেশখালীতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন  জয় কারাতে একাডেমির কমিটি সংস্কার: দায়িত্বে মুকুল, আবছার, জয়দেব শীর্ষ ৬ দালালের নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজারের পতিতা ব্যবসা

টেকনাফে অপহৃত ৯ জন কৃষক ছাড়া পেল “মুক্তিপণে নাকি পুলিশের অভিযানে”প্রশ্ন জনমনে

হায়দার নেজাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩১ বার পঠিত

হায়দার নেজাম:

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত ৯ জন কৃষক ছাড়া পেল দুইদিন পর। উদ্ধার নিয়ে জনমনে নানান কৌতূহল । এ নিয়ে পুলিশের দাবি, পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে অপহরণকারি চক্র এদের ছেড়ে দিয়েছে। আর স্থানীয় এলাকাবাসী বলছেন, গোপনে স্বজনরা মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করার পর অপহরণকারিরা তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

সোমবার সকালে অপহৃত দুই রোহিঙ্গা সহ ৯ জন এলাকায় ফিরেছে বলে নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী । তিনি জানিয়েছেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচি পাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে কৃষকদের অপহরণ করা হয়। এরপর জনপ্রতি দেড় লাখ টাকা করে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহৃতদের পরিবারে ফোন করা হয়েছিল। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়ে হত্যা করা হবে বলে হুমকিও দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে গোপনে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করার পর এদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি বলেন, তবে স্বজনরা কত টাকা এবং কাকে মুক্তিপণ দিয়েছে এটি বলতে রাজী হচ্ছে না। অপহৃতরা হলেন, নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাঁচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম, আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল ও নুরুল হোছন। তবে দুই রোহিঙ্গার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন অপহৃত ৯ জনকে ছেড়ে দেয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, শনিবার অপহরণের বিষয়টি জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পুলিশ পাহাড়ে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখায় অপহরণকারি চক্রের সদস্যরা এদের ছেড়ে দিয়েছে। মুক্তিপণ পরিশোর বিষয়টি তিনি জানেন না দাবি করে বলেন, ফেরা কৃষকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অপহরণকারি চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভোক্তভোগীদের তথ্য বলছে, এনিয়ে গত একবছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৮৮জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৭৮ জন মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs