সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
টেকনাফের হ্নীলার মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল্লাহ বিন সোয়াদ(৬) কে অপহরণের ৬দিন পরেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।এদিকে অপহরণ চক্রের সদস্যরা সোয়াদ এর মা’কে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে শিশু সোয়াদকে কেটে টুকরো করে ফেলবে বলেও হুমকি দেয় অপহরণকারীরা । আসামি আটক করেও তাদের স্বীকারোক্তি মতো শিশুটিকে উদ্ধার করতে না পারাটাই থানা পুলিশের ব্যর্থতা বলে দাবি করেন ভিকটিমের পরিবার।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তাঁরা ।
এদিকে অভিযানে যাওয়ার কথা বলে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষথেকে গাড়ি চেয়েছে পুলিশ। পরিবার গাড়ি দিলেও সেই গাড়ি নিয়ে অভিযান না করে আসামিদের এসির বাতাসে করে জামাই আদরে আদালতে পাঠিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান ভিকটিমের পরিবার।
দ্রুত অক্ষত অবস্থায় শিশুকে উদ্ধারে প্রশাসনের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।
গত ৯ মার্চ দুপুর ১২ টারদিকে হ্নীলা পুর্বপানখালীস্থ আবু হুরাইরা (রাঃ) মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র একই এলাকার কাতার প্রবাসী হাফেজ আব্দুল্লাহর ছেলে সোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) কে উম্মে সালমা (৩০) নামে এক পুরাতন রোহিঙ্গা নারীর নেতৃত্বে কক্সবাজারের লারপাড়া এলাকার সিএনজি চালক মোঃ নাছিরের সহায়তায় অপহরণ করা হয় । এ ঘটনার পরে অপহৃত ছেলেটির মা নুরজাহান বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
টেকনাফ মডেল থানার ( ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি মুহাম্মদ উসমানগনি বলেন,গতরাত থেকে সেহেরীর সময় পর্যন্ত এসপি সার্কেলসহ থানায় আটককৃত ৫ জনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তাদের স্বীকারোক্তিতে ভিকটিমকে উদ্ধারের জোর প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু পুলিশ কোনো আসামিকে আটকের পর ২৪ ঘন্টার বেশি থানায় রাখার বিধান না থাকায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।