নিজস্ব সংবাদদাতা :
টেকনাফ হ্নীলা ইউপির মৌলীবাজার খন্ডখাটা এলাকায় শশুর বাড়িতে জামায়ের রহস্যজনক মৃত্য হয়েছে । নিহত ব্যক্তির নাম কামাল হোসেন ।সে জরিনা বেগমের মেয়ে সেলিনা আক্তারকে বিয়ে করে শশুর বাড়িতে বসবাস করছিল। গত বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টম্বর ) হ্নীলা ইউপির খন্ডখাটা এলাকায় এই মৃত্যর ঘটনা ঘটে ।ঘটনার পরে শনিবার (২ অক্টোবর ) নিহতের বোন লায়লা বেগম বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় ৭জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ কে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে ।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ,নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ,কালা মিয়ার পুত্র বশির আহমদ (বর্তমান মেম্বার ),ইদ্রিসের ছেলে নুর নবী প্রকাশ বাচানি ,মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃফয়সাল ,আবুল হাশেম,রবিউল আলম,নুইন্যা সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫ জন ।এদিকে
ঘটনার পর থেকে এই ঘটনা কে দামাচাপা দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছে একটি প্রভাবশালী চক্র । যে চক্রের মূল হিসেবে রয়েছে ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বশির আহমদ ও ইয়াবাডন সুরঙ্গ বাড়ির মালিক নামে পরিচিত ফয়সাল ।
এদিকে মৌলভীবাজার ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার বশির আহমদ ইতোপূর্বে একজন মৌলভীকে লাঠিসোটা দিয়ে বেদড়ক মারধর করেছিল ।সেই ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল ।পরে তার বিরুদ্ধে টেকনাফ মামলা দায়ের করলে মামলা হওয়ার পরে তাকে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনানুহগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল ।এই বশির মেম্বারের বিরুদ্ধে এইধরণের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে । নিহত কামালের বোন লায়লা বেগম বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সেখানে বশির মেম্বারকে ২ নাম্বার অভিযুক্ত ( আসামি ) করা হয়েছে ।অভিযুক্ত ৪ নং আসামি ইয়াবাডন ফয়সাল সে কালো টাকার প্রভাব কাটিয়ে এই ঘটনা দামাচাপা দেয়ার গুরুতর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানায় লায়লা বেগম এবং বশির মেম্বার নিহতের স্বজনদের প্রতিনিয়ত হুমকি দমকি দিয়ে মামলা না করার জন্য আতংকে রাখছে বলে অভিযোগ ওঠেছে ।এবিষয়ে জানতে চাইলে বশির আহমদ মেম্বার বলেন,সব অভিযোগ ভূ্য়া,আমি জড়িত নেই,লাশ দেখতেও যায়নি।যদি প্রমাণ থাকে তাহলে আমি দোষী।ফয়সালের নাম্বারে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। নিহত কামালের পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।
অভিযোগের বিষযে জানতে টেকনাফ থানার ওসিকে কল দিলে,তিনি কল রিসিভ না করাতে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।