স্পোর্টস ডেস্ক।
খেলার ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে জেগে উঠল ইতালি। ছেদ পড়ল স্প্যানিশ আধিপত্যে। তবে তা কিছুটা সময়ের জন্যই। বদলি নেমে দলকে পথে ফেরালেন আলভারো মোরাতা। অতিরিক্ত সময়ে পেরিয়ে ম্যাচ গড়ালো টাইব্রেকারে। যেখানে জয়োল্লাসে ফেটে পড়ল ইতালি।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে প্রথম সেমি-ফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতেছে ইতালি।
ম্যাচের শুরু থেকে দেখা মেলে স্পেনের চিরচেনা ফুটবল। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭৫ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রাখা দলটি সুযোগও পায় প্রথম; তবে ডি-বক্সে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি মিকেল ওইয়ারসাবাল।
একটু একটু করে গুছিয়ে উঠতে থাকে ইতালি। এর মাঝেই ২৫তম মিনিটে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে দানি ওলমোর শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে এই একবারই জানলুইজি দোন্নারুমার পরীক্ষা নিতে পেরেছে স্পেন।
বিরতির ঠিক আগে গিয়ে গোলে প্রথম শট নিতে পারে ইতালি; চোটে ছিটকে যাওয়া লিওনার্দো স্পিনাস্সোলার জায়গায় খেলা এমেরসনের দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া প্রচেষ্টা ক্রসবারে বাধা পায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও একইরকম দাপটে শুরু করা স্পেন ৫২তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু সের্হিও বুসকেতসের শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে যায়। পাল্টা আক্রমণে পরের মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় ইতালি, চিয়েসার প্রচেষ্টা ফেরান উনাই সিমোন।
খেলার ধারার বিপরীতে ৬০তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণেই গোল আদায় করে নেয় ইতালি। মার্কো ভেরাত্তির বাড়ানো বল ডি-বক্সের মুখে রুখে দিয়েছিলেন এমেরিক লাপোর্ত, কিন্তু বল চলে যায় চিয়েসার পায়ে। দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে জায়গা বানিয়ে একটু বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ইউভেন্তুস ফরোয়ার্ড।
পাঁচ মিনিট পর আবারও হতাশ করেন ওইয়ারসাবাল। কোকের দারুণ ক্রস ছয় গজ বক্সের মুখে ফাঁকায় পেয়েও মাথা ছোঁয়াতে পারেননি রিয়াল সোসিয়েদাদের এই ফরোয়ার্ড।
পিছিয়ে পড়ার পরই ফেররান তরেসকে বসিয়ে মোরাতাকে নামান কোচ। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দেশের মানুষেরই দুয়োর শিকার হওয়া এই স্ট্রাইকারের দারুণ নৈপুণ্যেই সমতায় ফেরে স্পেন। ওলমোকে বল বাড়িয়ে ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে, সতীর্থের ফিরতি পাস প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।