বার্তা পরিবেশক
কক্সবাজার সদরের জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে ওই পরিষদের ইউপি সদস্য ওসমান সরওয়ার আলম ডিপোর মিথ্যে অপপ্রচার এবং তথ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ১৮ মে মঙ্গলবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের নবনির্মিত ফরাজী পাড়াস্থ ইউপি পরিষদ ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউপি সচিব মোস্তাক আহমদের নেতৃত্বে নির্বাচিত মেম্বার, তথ্য উদ্যোক্তা এবং গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, মেম্বার এবং সংশ্লিষ্টরা বলেন, সম্প্রতি অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ ও ইউপি সদস্যদের জড়িয়ে একই পরিষদের মেম্বার ওসমান সরওয়ার ডিপো তার ফেসবুক ও ইউটিউব একাউন্টে একটি ভিডিও আপলোড দিয়েছেন। যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তার ওই ভিডিওতে সংযুক্ত আমাদের বিভিন্নজনের ফোনালাপ সুপার এডিটের মাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হয়েছে।
মেম্বার ডিপো কর্তৃক প্রচারিত অমূলক ও অসত্য তথ্যযুক্ত ভিডিওর কারণে ইউনিয়ন পরিষদ ও আমাদের ব্যক্তিগত সামাজিক মর্যাদা ও সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তার উপস্থাপিত বিষয়বস্তু ও বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। নেই কোন সামঞ্জস্যতা। এটি তার ব্যক্তিগত আক্রোশ, প্রতিহিংসা ও হীনস্বার্থ হাসিলের অপকৌশল মাত্র। যার মাধ্যমে ডিপোর বিকৃতরূচি, অসংলগ্ন আচরণ ও মানসিক বিকারগ্রস্ততা প্রতীয়মান হয়। জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের গত ৫ বছরের উন্নয়ন কার্যক্রমে চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদের জনপ্রিয়তায় বেদনাদগ্ধ ডিপো মূলত একজন ইয়াবা কারবারী, উন্নয়ন বিদ্বেষী ও পরশ্রীকাতর ব্যাক্তি।
এ পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান রাশেদের উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপকৌশলের অংশ হিসেবে ডিপো পরিষদের বিভিন্ন কার্যক্রমে অমূলক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অঙ্গুলি নির্দেশ করে চেয়ারম্যানকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে তার হীনস্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালিয়েছে। ডিপোর উত্থাপিত ও তার নিজের ফেসবুক, ইউটিউব একাউন্টে প্রচারিত বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগের সাথে বাস্তবতার দুরতম সম্পর্ক নেই। ইউনিয়নের পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিষদের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়। যেখানে প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকান্ড চেয়ারম্যান রাশেদ ও সংশ্লিষ্ট মেম্বারগণ আন্তরিকভাবে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নিরপেক্ষতার সাথে সম্পন্ন করে জনগণের অধিকার সমুন্নত রেখে জালালাবাদ ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রুপান্তর করেছেন। সেখানে ওসমান সরওয়ার ডিপোর এ বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার ও তথ্যবিকৃতি তার বিকারগ্রস্ত মনের বিষোদগার ছাড়া আর কিছুই নয়।
মেম্বার মোফাচ্ছল তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদের নেতৃত্বে এ ইউনিয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে গ্রাম আদালতের বিচারিক ব্যবস্থায়। চেয়ারম্যানের যোগ্য নেতৃত্ব, ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টা, অপূর্ব কৌশলে জনগণের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান, ধর্ম-বর্ণ-ধনী-গরীব সকলের ক্ষেত্রে সাম্যতা সাধনের মাধ্যমে চেয়ারম্যা নিজেকে জনবান্ধব ও জননন্দিত চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
এছাড়া আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার বিপুল জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাকাতর হয়ে ডিপোসহ একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠি চেয়ারম্যানের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ড, জনবান্ধব নীতি ও সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। চেয়ারম্যানসহ পরিষদের সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ডিপো ও তার নেপথ্য কুশীলব গংয়ের উদ্দেশ্যপ্রণোতিভাবে এ হীনস্বার্থ হাসিলের অপপ্রয়াস সম্পর্কে জালালাবাদ ইউনিয়নের আপামর জনগণ অবগত আছেন। তাছাড়া ডিপো অন্যায্যভাবে চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়ে পরিষদের অলীক দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির ধোঁয়া তুলে বিভিন্ন দপ্তরে অন্যায্য অভিযোগের ফিরিস্তি দায়ের করেন। যা আদৌ ধোপে টিকেনি। তাই কোন দপ্তর ঐ সকল অবাস্তব নিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনই মনে করেনি। বরং ডিপো বিভিন্ন দপ্তরে তার উত্থাপিত অভিযোগ অমূলক বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। যার তথ্য প্রমাণ পরিষদে সংরক্ষিত আছে।
তিনি আরো বলেন, এখানেই শেষ নয়। ডিপো স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি হয়েও জালালাবাদ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে দীর্ঘদিনের ইয়াবা কারবার ছড়িয়ে দিয়ে যুবসমাজকে বিপদগামী করেছে। তিনি ইয়াবা মামলার আসামী এবং প্রায় বছরখানেক কারাগারে ছিলেন। ডিপোর ইয়াবা বানিজ্যের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণের কঠোর অবস্থানের কারণে সে তার দুরভিসন্ধি চরিতার্থ করতে ব্যর্থ হয়ে পাগলের অপপ্রলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেল চলাকালে ইউপি সচিব মোস্তাক আহমদ, ইউপি সদস্য মোক্তার আহমদ, সাইফুল হক, নুরুল আলম, মোঃ মোফাচ্ছেল, মনজুর আলম, আবু তাহের, আরমান উদ্দিন, নারী সদস্য জাহানারা বেগম, রোকসানা আক্তার, রেহেনা আক্তার রানু, উদ্যোক্তা মুফিজ উদ্দিন, শাহেদ উদ্দিন মিছবাহ্, গ্রাম পুলিশ মিজানুর রহমান , নাছির উদ্দিন, নুরুল আজিম, নাজির হোছন, জাহাঙ্গীর আলম, সুধীর দে এবং আদালত সহকারী সুভাষ দে উপস্থিত ছিলেন।