বার্তা পরিবেশকঃ
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও থানাধীন জালালাবাদে খতিয়ান ভুক্ত জমিতে নির্মানাধীন প্রাচীর গভীর রাতে ভেঙে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগকারী জাবের আলম জালালাবাদ ইউনিয়ন পালাকাটা এলাকার বাসিন্দা। তার দাবি, ঈদগাঁও ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের অপারেশন ম্যানাজার ঈদগাঁও মাইজপাড়া এলাকার রমজানুল আলম ও তার বড় ভাই জহির উদ্দিনের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী গত ১৭ জুলাই শনিবার আনুমানিক রাত দেড় টার দিকে ঈদগাঁও ডিসি সড়কের দক্ষিণে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের পাশে জাবের আলম গং দের খতিয়ান ভুক্ত জমির নির্মানাধীন প্রাচীর ভেঙে ফেলে নির্মান কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়৷ যার আনুমানিক মূল্য অর্ধ লক্ষাধিক টাকা৷
তার দাবি, বিনা উস্কানিতে জমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে নির্মানাধীন প্রাচীর ভেঙে মালামাল লুট করেছে এবং প্রাচীর ভাঙার ব্যাপারে অভিযোগ দিলে মিথ্যা মামলা রুজু করে হয়রানি করা হবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দমকি প্রদান করেন৷অভিযুক্ত রমজানুল আলম দেশের আইন আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন বলে জানান অভিযোগকারী৷
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রমজানুল আলম প্রাচীর ভাঙার কথা এড়িয়ে প্রতিবেদক কে জানান, ‘এই জমিতে আমাদের পারিবারিক অংশ রয়েছে৷অবৈধ ভাবে প্রাচীর নির্মানের ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে’৷
এসময় তিনি সাংবাদিকদের তার নাম উল্লেখ না করার জন্য অনুরোধ করেন৷
অভিযোগ জানতে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করেও সংযোগ পাওয়া না যাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি৷
অভিযোগের ব্যাপারে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, ‘ভুক্তভোগীদের কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে অপরাধীর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’৷
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত রমজানুল আলম ইতোপূর্বে ঈদগাঁও কলেজ গেইট এলাকায় অন্যের খতিয়ান ভুক্ত জমি দখল করে আলোচনায় এসেছিলেন। সে সময় তার ব্যাপারে তত্কালীন ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল এবং ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকে চাকরি করার সুবাদে গ্রাহকদের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে উৎকচ গ্রহনের অভিযোগও রয়েছে।