জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়া।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ৩ হাসপাতালে ১৩ দিন-মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বিদায়ী ৫ ভাইয়ের সঙ্গী হলেন আহত রক্তিম সুশীল (৩৫)।
মঙ্গলবার (২২ ফেরুয়ারী) সকাল ১০টার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পিতার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে বাড়ী ফিরার পথে উপজেলার মালুমঘাট সোয়াজানিয়া রাস্তার মাথা সবজি বোঝায় ঘাতক পিকআপ গাড়ীর ধাক্কায় প্রাণ হারায় অনুপম সুশীল, নিরুপম সুশীল, দীপক সুশীল, চম্পক সুশীল ও স্মরণ সুশীল সহ ৫ভাই।এসময় আহত হলেন রক্তিম ও বোন হীরা।আহত রক্তিমকে চমকে ভর্তি করানো হয়।
নিহতদের বৃদ্ধা “মা”মানুবালা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,সড়ক র্দূঘটনায় একদিনে ৫ ছেলেকে হারিয়েছি।এসময় আহত হলেন,আমার আরেক ছেলে রক্তিম সুশীল ও হীরা মুন্নী সুশীল।মেয়েটিকে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করায়।সেখানে মেয়েটি এখনো চিকিৎধিন।এদিকে ছেলে রক্তিমকে আহত অবস্হায় চমক হাসপাতালে ভর্তি করায়।এমতাবস্থায় তাকে বাঁচাতে নাকি আইসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজন । কিন্তু আইসিইউ খালি না থাকায় পরদিন ম্যাক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও এক দিন রাখা হয়।বেসরকারি এই ম্যাক্স হাসপাতালে খরচ বহনে অক্ষম হয়ে,নিয়ে গেলাম জেনারেল হাসপাতালে।সেখানেও দুইদিন লাইফ সাপোর্টে রাখি।ওখানে ব্যয় বহুল খরচ বহনের অক্ষমতায়,আবারো নিয়ে গেলাম চমক হাসপাতালে।সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্হায় রক্তিম মারা যান।
সন্তানদের হারিয়ে পাগল পারা বৃদ্ধা”মা” মানুবালা।আরেক দিকে আহত ছেলে রক্তিম ও মেয়ে হীরাকে বাঁচাতে ব্যাকুলতায় দিন কাটাচ্ছিল।সেই ফাঁকে রক্তিমকে হারিয়ে দিশেহার মানুবালা।
মানুবালার ৮ছেলে,২মেয়ে।তৎমধ্যে গত তিন বছর পূর্বে মেঝ-ছেলে হীরক সুশীলকে হারান।তিন বছর সময় না যেতে ৩০জানুয়ারী স্বামী সুরেশ চন্দ্র সুশীলকে হারান।স্বামীকে হারিয়ে ৮দিনের মাথায় সড়ক র্দূঘটনায় ৫ছেলেকে হারিয়েছে।র্দূঘটনার ১৩দিনের মাথায় আহত ছেলে রক্তিমকে হারিয়ে ভারসাম্য হারানোর পথে মানুবালা।