জিয়াউল হক জিয়া
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউন শতভাগ কার্যকর করতে জরুরী মতবিনিময় সভা করেন চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি আলহাজ্ব জাফর আলম।
উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার সমন্বয়ে
লকডাউন কার্যকর বিষয়ে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হোসেন, চকরিয়া থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদুল হকসহ সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাববৃন্দ।
এসময় উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রতিষ্টানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সেই সাথে নানা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েও রেখেছে। দিন দিন করোনা সংক্রমণের হার প্রকোপের কারণে সরকার বিরাজমান পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেন। এরই প্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬ টা থেকে আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনা করা হয়। সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করার জন্য সকলকে সমন্বয়ের মাধ্যমে শতভাগ কঠোর ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। পূর্বের অভিজ্ঞা কাজে লাগিয়ে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় লকডাউন কঠোর বাস্তবায়নে সার্বক্ষণিক মাঠে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, লকডাউন চলাকালে সরকারের প্রজ্ঞাপন ঘোষিত শুধুমাত্র জরুরি সেবা সমূহের প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে। জরুরী সেবার প্রতিষ্ঠানে যারা নিয়োজিত থাকবে তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মার্কেট, শপিংমল ও দোকান পাটসহ অন্যান্য প্রতিষ্টান ও হাট-বাজারে ক্রয়-বিক্রয় করলে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি কারণে বুধবার ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত সরকারের নির্দেশনাসমূহ প্রতিপালনের জন্য উপজেলার সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।