জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় সড়ক র্দূঘটনায় নিহত ৬ ভাইয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ মামুনুর রশিদ।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে মালুমঘাটস্হ সোয়াজানিয়া-হাসিনাপাড়ার নিহতদের বাড়ীতে সমবেদনা ও আর্থিক সহযোগিতার হাত বাঁড়াতে ছুঁটে আসেন জেলা প্রশাসক।
ঘাতক সবজি বোঝায় পিকআপ গাড়ীর চাপায় চিরবিদায় নেওয়া প্রয়াত সুরেশ চন্দ্রের নিহত ৬ ছেলে-অনুপম শর্মা (৪৫), নিরূপম শর্মা (৪৩), দীপক শর্মা (৪০), চম্পক শর্মা (৩৮),রক্তিম শর্মা(৩৫) ও শরণ শর্মা (২৬)’র পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা করে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা সহ তাদের জন্য মালুমঘাট হিন্দুপাড়া এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর মুজিববর্ষের উপহার জমি মিলে ৮টি নতুন বাড়ি করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।এসময় জমি ও বাড়ী নির্মাণের বিষয়ে চকরিয়ার ইউএনও ও এসিল্যান্ডকে নির্দেশনা দিয়েছেন ডিসি মোঃ মামুনুর রশিদ।
তিনি আরো বলেন,নিহতদের পরিবারে যাদের কর্মসংস্থান দরকার, তাদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। নিহত পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পক্ষ থেকে বড় পরিসরে আর্থিক সহযোগিতা এনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি সহ সবসময় নিহত পরিবারে খবরাখবর রাখতে ইউএনও ও এসিল্যান্ডকে নির্দেশনা দেন।
এসময় উপস্হিত ছিলেন,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত,উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান, সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মোঃ তফিকুল আলম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাহাত উজ জামান, থানার ওসি মোঃ ওসমান গনি, ডুলাহাজারার চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর,অত্র ওয়ার্ডের মেম্বার রফিক আহমদ সহ সাংবাদিক,স্হানীয় গণ্যমান্য বক্তিবর্গ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাটস্হ সোয়াজানিয়া রাস্তার মাথা নামক এলাকায় সড়ক র্দূঘটনায় ঘটনাস্হলে ৫ভাই প্রাণ হারায়।এসময় আহত হওয়া রক্তিম ঘটনার ১৩দিনের মাথায় চিকিৎধিন অবস্হায় মারা যান। আহত বোন হীরা শীল এলনও মালমুঘাট মেমোরিয়াল খ্রীস্টান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতদের বৃদ্ধা”মা” মানুবালা সুশীল কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার পরিবারের উপার্জনকারী সবাইতো আমাকে রেখে চলে গেলেন।এখন আমি কি নিয়ে বাঁচবো।আমার ছেলেদের বিধবা স্ত্রী,পিতৃত্বহারা সন্তানেরা কাকে নিয়ে বাঁচবে।দিশেহারায় দিন-যাপন সহ রাত-দিনতো এখন অন্ধকার ছাড়া কিছুই নেই বলতে চোখের জ্বলে ভাসছে বৃদ্ধা মায়ের বুক।