জিয়াউল হক জিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপ গাড়ীর চাপায় ৫ছেলে হারানো”মা” মানু বালা শীল সহ নিহতদের স্ত্রীর হাতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নগদ ১ লাখ টাকা সহ
অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি শৈবাল দাশ ও ঢাকার সানন্দা জুয়েলার্সের মালিক রনজিত ঘোষের প্রেরিত আরো ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা হয়েছে।
সোমবার(১৪জানুয়ারী) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের সময় কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম নগদ অর্থ তুলে দিয়েছেন।
এসময় উপস্হিত ছিলেন, চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেল তফিকুল আলম,চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি ও অপারেশন অফিসার এসআই রাজিব চন্দ্র সরকার এবং ডুলাহাজারার চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর।
নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়, নিহত পাঁচ ভাইয়ের ছোট ভাই প্লাবন শীলকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস ও নিহত পাচঁ পরিবারের বিধবা স্ত্রীদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন মানবিক পুলিশ কর্মকর্তাগণের।
এদিকে ট্রাকচাপায় গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন,নিহতদের আরেক ভাই রক্তিম শীল।বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ।এখনো জ্ঞান ফেরেনি তার।
উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার মাত্র ১১ দিন আগে প্রয়াত বাবা সুরেশ চন্দ্র শীলের শ্রাদ্ধকর্ম করতে গিয়ে ৯ভাই-বোনকে ঘাতক পিকআপ গাড়ী চাপা দিলে,ঘটনাসস্হলে ৫ভাই নিহত হন।এতে এক বোন সহ বাকী তিন ভাই গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে কাতারাচ্ছেন।এতে একভাই প্লাবন সুশীল বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় চালকের বিরুদ্ধে মামলা করেন,যার মামলা নং-১৬/২২ইং।বর্তমানে চালক পুলিশ হেফাজতের তিনদিনের রিমান্ডে রয়েছেন।