চকরিয়া প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহির হত্যার বিচারের দাবীতে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল।এতে ২ঘন্টা পযর্ন্ত দুই পাশের যানচলাচল বন্ধ থাকে।
রবিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেন,খুটাখালী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক লাল মুহিত সহ শ্রমিক লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী।
খুটাখালী বাস ষ্টেশন সংলগ্ন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে “জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু” শ্লোগান দিয়ে শুরু করে প্রতিবাদ মিছিল।মিছিলে উচ্চস্বরে একটি ধ্বনি ধ্বনিত্ব হল-জেলা শ্রমিক লীগের সংগ্রামী সভাপতি জহিরুল ইসলামকে যারা নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে।আমরা এই ঘাতক খুনির বিচার চাই,অবিলম্বে হত্যাকারী ঘাতকদেরকে গ্রেফতার করা হোক,না হয় আমরা রাজপথ ছাড়ব না।কারণ হত্যাকারীরা এখনো পর্যটন শহরে দাম্ভিকতার সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে।সুতরাং খুনি যতই শক্তিশালী হোক না কেন?তাদেরকে গ্রেফতার করা হোক,না আন্দোলন চলবে,চলতে থাকবে।জহির হত্যাকারীকে গ্রেফতার না করে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।তাই যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসন জহির হত্যাকারীকে আইনের আওতায় না আনে,ততক্ষণ পর্যন্ত খুটাখালী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ প্রতিবাদের কন্ঠস্বর নিয়ে মহাসড়কে অবস্হান করবে।
গুলি করে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরকে হত্যা করায়,প্রতিবাদে উত্তাল চকরিয়ার মহাসড়ক।এমন উত্তাল প্রতিবাদ মিছিল থামিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করতে ছুটে আসেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি আলহাজ্ব জাফর আলম,পৌর আ’লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু,উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃজামাল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুন সহ চকরিয়া থানার ওসি সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।উনারা আসার পরে পুলিশ প্রশাসন কঠোর পরিশ্রম করে যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেন।
প্রতিবাদ মিছিলে এমপি সহ চকরিয়া উপজেলা শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দরা যোগ দিয়ে ফুসে উঠা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য জামাল,মামুন বলেন,গত ৫ নভেম্বর রাতে কক্সবাজার লিংকরোড সংলগ্ন ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া সদস্য প্রার্থী কুদরত উল্লাহ এর নির্বাচনী অফিসে গাড়ী নিয়ে এসে অর্তকিতভাবে গুলি করে সন্ত্রাসীরা।এতে গুলিবিদ্ধ হয় জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য প্রার্থী কুদরত উল্লাহ।গুলিবিদ্ধ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহির ৭নভেম্বর(রবিবার)দুপুর ১২টা ৪৫মিনিটের সময় চিকিৎসাধিন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।তারই প্রতিবাদে চকরিয়ার খুটাখালী সহ বিভিন্ন এলাকাতে প্রতিবাদে আন্দোলন করা হচ্ছে।তারই ধারাবাহিকতায় খুটাখালীর শ্রমিকলীগ প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে মহাসড়কে অবস্হান করবে।তবে শান্তি শৃংখলা বজায় রেখে শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদের ঝড় তুলার আহবান জানান এ নেতারা।কারণ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহির ভাইয়ের হত্যাকারীদেরকে যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেফতার করা না হয়,ততক্ষণ পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের আন্দোলন,প্রতিবাদ মিছিল চলবে,চলতে থাকবে।