জিয়াউল হক জিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়ার ১টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নস্হ ছোট-বড় প্রায় ২০টি মত হাট বাজার রয়েছে।যেখানে প্রতি সপ্তাহে ২বার করে হাট বসে।এছাড়াও প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যাও বিভিন্ন কাঁচা সবজি বা তরিতরকারি পাওয়া যায়।শীতের আনাঘোনার শুরুতে হঠাৎ করে উপজেলার প্রতিটি বাজারে লাগামহীনভাবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা সবজি সহ নিত্য প্রয়োজনিয় তরিতরকারি।যা ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।গ্রামাঞ্চলের কেটে খাওয়া মানুষ সবজি বাজার নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে।ফলে তরিতরকারি কিনতে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা।এভাবে চলতে থাকলে গ্রামাঞ্চলের বেশীর ভাগ মানুষকে ছেড়ে দিতে হবে কাঁচা সবজি বা তরিতরকারি ক্রয়।অপর দিকে দাম বাড়ায় বেচাবিক্রি কমে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। পৌরসভা সহ কয়েকটি বাজার ঘুরেছি আর বিভিন্ন বাজারের খবরাখবর নিয়ে জেনেছি,কাঁচা মরিচ ১কেজি-২০০টাকা,মুলা-৫০টাকা,
করলা-৬০টাকা,তিত করলা-৫০টাকা,শিম-৬০টাকা, বেগুন-৬০টাকা,ডেরস-৬০টাকা,কচুরছারা-৩০টাকা,আলু তিন ধরণের-দেশী-৩৫টাকা,নাটোর-৩০টাকা,ললিতা-২৫টাকা,গাজর-৪০টাকা,শষা-৪০টাকা ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। খুটাখালী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোঃশহর মল্লুক জানান,বর্ষার সৃষ্ট বন্যায় নাকি সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে।তাই সবজি চাষিরা ক্ষতি ফুসিয়ে উঠতে না পারায়,নব চাষকৃত তরিতরকারি চড়া বিক্রি করছেন।আমরা যখন পাইকারী ধরে করছি,ক্রয় চাষিরা এমন কথা বলে থাকেন।আমরাও ব্যবসার সুবাধে চড়া দামে ক্রয় এনে,গাড়ীভাড়া,লেবার খবচ,দোকান ভাড়া,বাজার টেকস সবমিলিয়ে ফুসিয়ে৷ উঠতে পারার মত করে বিক্রি করছি।কিন্তু সবজির দাম বাড়ার সাথে-সাথে কমে সেলস এর পরিমাণ।এত কম বেচাবিক্রি হলে আমরা চরম বিপাকে পড়ে যাব বলে জানিয়েছেন। ডুলাহাজারা এলাকার দিনমজুর আব্দুল কাদের ও সোনা মিয়া জানান,সারাদিন মাঠে-ঘাটে কাজ করে ৫০০টাকা কামাই করে।এরমধ্যে প্রতিমাসে ৮/৯দিন বেকার বসে থাকতে হয়।এত স্বল্প ইনকামে কিভাবে সংসার চালায়।একদিকে বেড়েছে কাঁচা সবজির দাম অন্যদিকে বেড়েছে চাল,ডাল,তেলের দাম।এখন নিত্যপণ্য বাজার খরচ আর ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা সহ ভরপোষন দিতে প্রায় অক্ষম হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। স্হানীয়রা জানান,সরকারিভাবে যদি খোলা বাজারে ভোগ্যপণ্য বিক্রয় করা হলে, আমরা উপকৃত হতাম।এখন ডাল কিনলে পান্তা শেষ,সংসার চালাতে চরম এক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।তাছাড়া মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের নজরদাির না থাকায় পাইকারি এবং খুচরা বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপণ্য।এর
ফলে খেটে খাওয়া সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের দুঃখ-দুর্দ্দশা ছাড়ছেনা।সুতরাং বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে হাট ও বাজার গুলোতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কর্তৃক অভিযান পরিচালনা দরকার বলে মনে করছেন এলাকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষরা।