জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা মিলে বর্ষা মৌসুমে ১৮হাজার ৮শত ৫০হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়।গেল ২৬জুলাই থেকে ২ আগষ্ট পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণে উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে মাতামূহুরী নদী সহ বিভিন্ন ছড়া-খালে পানি দ্রুত নেমে যেতে না পারায় বন্যার সৃষ্টি হয়।ফলে সৃষ্ট বন্যায় আমন চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা।
জনপ্রতিনিধিদের তথ্য মতে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,বর্ষার মৌসুমে আমন চাষের বীজতলা ও আবাদ বা উৎপাদন জমি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়।এতে দীর্ঘ কয়েক দিন পানিতে ডুবে থাকা এবং উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলের পানির পলিমাটির নিচে পড়ে আমন চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।এমন দৃশ্য উপজেলা জুড়ে চাষাবাদী জমির দিকে থাকালে চোখে পড়ার মত।তৎমধ্যে,পৌরসভা, বিএমচর,পূর্ব বড়ভেওলা,কোণাখালী,ঢেমুশিয়া,বরইতলী,হারবাং,লক্ষ্যারচর,বমু-বিলছড়ি,কাকারা,সুরাজপুর-মানিকপুর,ডুলাহাজারা,খুটাখালী ইউনিয়নে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা বেশী।
কাকারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত,লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কায়সার ও হারবাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম জানান,গেল কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে মাতামূহুরী নদীর ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে বর্ষার মৌসুমে করা আমন ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।বিষয়টি আমরা উপজেলা কৃষি অফিসার নাছিম উদ্দিনকে জানিয়েছি।পরে উপজেলা কৃষি অফিসার সহ প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কর্মরত ফিল্ড অফিসারদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্হ বীজতলা, আবাদ ও কৃষকদের নাম ও ক্ষতির পরিমাণ লিপিবদ্ধ করেছেন।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসারের সহকারী রাজীব জানান,চলিত বর্ষার মৌসুমে উপজেলাতে ১৮ হাজার ৮ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়।হঠাৎ বর্ষার ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যার পানিতে আমন চাষের বীজতলা ও আবাদ বা উৎপাদন(রোপিত)ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।তবে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে সংগ্রহ করা তথ্যমতে দেখা যায় বীজতলার সম্পূর্ণ ক্ষতি হয় ১৫২হেক্টর ও আংশিক বীজতলার ক্ষতি হয় ২২৮ হেক্টর জমির।ফলে সম্পূর্ণ ও আংশিক বীজতলার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ দাড়ায় ৭৯ লক্ষ টাকার মত।এছাড়া রোপিত ধানক্ষেত বা আবাদ সম্পূর্ণ ক্ষতি জমির পরিমাণ ২৯১ হেক্টর ও আংশিক জমির ক্ষতির পরিমাণ ৩৫৪ হেক্টর।আবাদ জমির ফসল উৎপাদন হলে,যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য দাড়ায় ৩শত ৯০ লক্ষ ৭৪৪টাকা।
এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃনাছিম উদ্দিন বলেন,বন্যার পানিতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বর্ষা মৌসুমের আমন ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।ইতিমধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জমির পরিমাণ ও নাম সংগ্রহ করেছি।যাহা আমি জেলা কৃষি অফিসার কে নোট দিয়েছি।এছাড়া জেলা কৃষি অফিসারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে নোট প্রেরণ সহ যোগাযোগ করা হয়েছে।মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমরা কৃষকদের কোন ধরণের আশ্বাস দিতে পারছিনা।