মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কক্সবাজারে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত:পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমকে আরও জোরদার করতে হবে-এডিসি শিক্ষা কক্সবাজার পৌরসভায় জনভোগান্তি ও দুর্নীতির ফাঁদে পৌরবাসী অধ্যাপক আজিজুর রহমানের পিতার মৃত্যুতে দৈনিক রূপালী সৈকত পরিবারের শোক শাহিন ডাকাতের সেকেন্ড ইন কমান্ড গর্জনিয়ার ত্রাস রহিম অধরা! পেকুয়ায় ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার চকরিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় মালবাহি ট্রাকের চালক-হেলপার আহত চকরিয়ায় শ্মশান থেকে রাজমিস্ত্রী সুমন বড়ুয়ার লাশ উদ্ধার শোক সংবাদ :টেকপাড়া নিবাসী অধ্যাপক আজিজুর রহমানের পিতা আলহাজ্ব ফয়েজ আহমদ মিয়া আর নেই ,আজ বাদ আছর নামাজে জানাজা চকরিয়ায় পৌরসভা ও ইউনিয়নে সেবাপ্রার্থীরা যেন বিড়ম্বনায় না পড়ে নির্দেশনায় বিভাগীয় কমিশনার ঈদগাঁওতে বিএনপির প্রয়াত নেতা কর্মীদের স্মরণ সভার প্রস্তুতি সভা যেন প্রবীণ নেতা কর্মীদের মিলন মেলা

গোপাল গঞ্জের শিপনের কারণে কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্টে লকারে পর্যটকের মালামাল চুরি!

নিজস্ব প্রতিবেদক,কক্সবাজার
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৮৮ বার পঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক,কক্সবাজার:
কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্টে টুরিস্ট পুলিশের লকারে পর্যটকের মালামাল বার বার চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রশাসনের নেই কোন মাথাব্যথা।
জানা যায়, গোপাল গঞ্জের জনৈক শিপন নামের এক ব্যক্তি আওয়ামী লীগের প্রভাব কাটিয়ে এ লকার নেয়। লকার নেওয়ার পর সে গোপাল গঞ্জ থেকে এ লকার পরিচালনা করে থাকে। লকারে চুরি হওয়া মালামালের সে কোন দায়ভার নেয় না।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, সেই শিপন কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়ার রাসেল নামের এক ব্যক্তি দিয়ে এ লকার পরিচালনা করেন। এ বিষয়ে সে কোন বিষয় জানে না বলেও জানান তিনি।
এদিকে গোপাল গঞ্জের লকার নেওয়া শিপনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এটা ভুয়া পর্যটক বলে কল কেটে দেন।
কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে কয়েক হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন। অর্ধেকের বেশি মানুষ সমুদ্রে নেমে গোসলে ব্যস্ত। এর মধ্যে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে  দেখা গেছে ভ্রাম্যমাণ লকার। এ লকারের একপাশে ঝুলানো ব্যানারে লেখা আছ। ‘কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আপনাকে স্বাগতম। আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে মূল্যবান প্রয়োজনীয় সামগ্রী লকারে রাখুন। প্রতি ঘণ্টা ৪০ টাকা।’
 এসব লকারে পর্যটকরা তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন শতাধিক পর্যটক। এসব লকার থেকে পর্যটকদের মোবাইলসহ নানা জিনিস হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে অনেক বিচার সালিশও হয়েছে বলে জানান বীচ কর্মীরা।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আদিল উদ্দিন (৩৫) জানান, তিনি সুগন্ধা পয়েন্টের লকারে মোবাইলসহ টাকা পয়সা রেখে সাগরে গোসল করতে নামে। পরে ফিরে এসে দেখে তার জিনিস পত্র রাখা লকার খোলা। আর সব জিনিসই খোয়া গেছে।
 চট্রগ্রামের মুহাম্মদ আসহাব উদ্দিন (৪০) জানান, তিনি কলাতলী বীচের লকারে জিনিস রাখার পর একটি মোবাইল হারিয়েছে।  এসব বিষয়ে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের নজরদারী জরুরী বলে দাবি করেন পর্যটকরা।
হাসান (৩৫) নামের এক পর্যটক বলেন, তিনি সুগন্ধা পয়েন্টের ট্যুরিস্ট পুলিশ লেখা লকারে মুঠোফোন, মানিব্যাগ, চশমা, ঘড়ি, জুতা, ব্যাগসহ মূল্যবান সামগ্রী রাখেন। পরে তার মোবাইল ফোন ওই লকার থেকে খোয়া যায়। পরে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও সেদিন মুঠোফোন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, এই রকম বিষয়টি আমাদের কাছে খবর এসেছে। কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্টের লকারসহ কলাতলী পয়েন্টের লকার যে অব্যাবস্থাপনা রয়েছে সে গুলো সংস্কার করা হবে। এবং শুধু লকার না কক্সবাজারের যে সকল স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই সেখানেও ক্যামরা দিয়ে নতুন ভাবে কক্সবাজারকে পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার তা তা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs