বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মহেশখালীতে নবাগত ইউএনও সাথে সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় কক্সবাজার পৌর, সদর ও রামু উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত, নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন মহেশখালীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ চকরিয়ায় হাইব্রীড ধান ও উফশী সার পেয়ে খুশিতে উৎফুল্ল উপকারভোগী কৃষকেরা চকরিয়ায় উপজেলা কৃষকদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এখন কক্সবাজারে। নাফ নদে সতর্কতা জারি করে মাইকিং মহেশখালীতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন  জয় কারাতে একাডেমির কমিটি সংস্কার: দায়িত্বে মুকুল, আবছার, জয়দেব শীর্ষ ৬ দালালের নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজারের পতিতা ব্যবসা

গোপন বৈঠকের অভিযোগে আবাসিক হোটেল থেকে ১৯ ইউপি সদস্যকে আটক সদর মডেল থানা পুলিশ।

রিয়াজ উদ্দিন
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৯ বার পঠিত

রিয়াজ উদ্দিন:

কক্সবাজার শহরে ইউনি রিসোর্ট নামক একটি আবাসিক হোটেল থেকে ১৯জন ইউপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী ইউনি রিসোর্টের ৫ম তলার হল রুম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা বলেন, জেলার ৯টি উপজেলার ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বার এসোসিয়েশন’র আলোচনা সভা চলছিল। এসময় পুলিশ ও অর্ধ-শতাধিক কথিত সমন্বয়ক তাদের হল রুম ঘেরাও করে। এরপর পুলিশ ও সমন্বয়ক পরিচয়ধারীরা এসে তল্লাশী যাচাই-বাছাই শুরু করে।

 

পুলিশ বলছে, আওয়ামী পন্থী ইউপি সদস্যরা গোপনে বৈঠক করছে এ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। ওই বৈঠকে ৭০ জন ইউপি সদস্য ছিল। বাকিদে ছেড়ে দেয়ার কারণ স্পষ্ট করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে, হোটেল ঘেরাও করায় আতংক সৃষ্টি হয় হোটেলটির আশে-পাশের এলাকায়। হোটেলে অবস্থান করা পর্যটকরা হোটেল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।

তবে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি সদস্যরা ইউনি রিসোর্টে গোপন বৈঠক করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচলনা করা হয়েছে। এখানে অনেক ইউপি সদস্য আছেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের আটক করা হবে এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের অভিযানে অর্ধশত কথিত সমন্বয়ক কেন এমন প্রশ্নের জবাব দেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আটক হওয়া টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জহির আহমেদ বলেন, ‘আজ জেলার ইউপি সদস্যের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বার এসোসিয়েশন’র আলোচনা সভা ছিল। আমরা প্রায় ৭০ জন মত ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলাম। সেখানে দেশের ক্লান্তিকালে কীভাবে কাজ করা যায়। সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। হঠাৎ অতর্কিতভাবে পুলিশ ও সমন্বয়ক ঢুকে আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে আটক করে। আমাদের যদি গোপন বৈঠক থাকতো তাহলে সড়কের পাশে হোটেলে এতবড় অনুষ্ঠান হতো না। আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া মহেশখালী এলাকার ইউপি সদস্য সেলিম জানান, ‘আজ আমাদের মেম্বার এসোসিয়েশন’র আলোচনা সভা ছিল। সেখানে সব রাজনৈতিক দলের মানুষও ছিল।কিন্তু এভাবেই আমাদের ভাইদের আটক করা হয়েছে সেটি তীব্র নিন্দা জানাই ।

ইউনি রিসোর্টে ৫০৫ নং কক্ষের পর্যটক মিরাজ বলেন, আমি আমার পরিবারকে নিয়ে এই হোটেলে উঠেছিলাম।হঠাৎ পুলিশ হোটেল ঘেরাও করে। কিছুক্ষণ পর কিছু ছাত্র পরিচয় দিয়ে হোটেলে ডুকে পড়েন।আমরা নিজেদের নিরাপদ মনে করছি না। তাই চলে যাচ্ছি।

এদিকে অভিযানের নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ভিডিও ফুটেজ নিতে বাঁধা দেন কথিত সমন্বয়ক পরিচয়ধারী কিছু লোক। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের উপর হামলাও করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী এক সাংবাদিক বলেন, হোটেলে পুলিশের অভিযান চলছে এমন খবরে আমরা নিউজ সংগ্রহ করতে আসি। আমরা ছবি তুলতে গেলে আমাদের বাঁধা দেওয়া হয়।এক পর্যায়ে আমাদের জন্য বিরানির অর্ডার করে তারা। তারপর আমরা ফুটেজ নিতে গেলে দালাল বলে গালিগালাজ করে এক যুবক। সে নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দেন। একটা আবাসিক হোটেল অভিযান চলছে সেখানে এতগুলো সমন্বয়কের কাজ কি বলে প্রশ্ন তুলেন এই সাংবাদিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs