আজিজুর রহমান রাজু, ঈদগাঁও:
মাদক, অনলাইন জুয়া, বিয়েতে অশ্লীলতা ও যৌতুকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান। কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়ায় সামাজিক অবক্ষয় রোধ, ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) বিকেলে গজালিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি,আলেম-ওলামা, সমাজের সর্দার ও যুবসমাজের সচেতন সদস্যরা।
সাংবাদিক আজিজুর রহমান রাজুর সঞ্চালন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জুবায়েদ উল্লাহ জুয়েল। আলোচনায় অংশ নেন এলাকার বিশিষ্ট আলেম-ওলামাগণ মাওলানা সরওয়ার কামাল, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা আমির হোসাইন ও মাওলানা দিদারুল ইসলাম,হাফেজ সেলিম উল্লাহ্, হাফেজ আব্দু রাজ্জাক,জিএসবি গ্রুপের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শিহাব,জুবাইরুল ইসলাম, মওলানা সাইফুল ইসলাম, সর্দার আবু শামা,সর্দার আলতাজ আহমেদ, সর্দার অছিউর রহমান,সর্দার এহসানুল হক,সর্দার জয়নাল আবেদীন ইদ্রিস হেডম্যান, আরিফুল ইসলাম,ইসলামী সংস্কৃতি সংগঠন মোহনিয়া সুর শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য, তরুণ, যুব সমাজ,ছাত্রসমাজের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আলোচিত যুব সমাজকে মাদক ও অনলাইন জুয়ার ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করা,বিয়ের অনুষ্ঠানে অশ্লীলতা, ডিজে গান ও নাচ-গানের অপসংস্কৃতি রোধ,যৌতুকপ্রথার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি
তরুণ প্রজন্মকে নামাজ ও ইসলামি নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ করা একটি আদর্শ, শান্তিপূর্ণ ও ধর্মীয় মূল্যবোধভিত্তিক সমাজ গঠন।
জনপ্রতিনিধিরা বলেন,আজ আমাদের সমাজের বড় একটি অংশ নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। মাদক, জুয়া, অশ্লীলতা ও যৌতুকের বিরুদ্ধে পরিবার, সমাজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা চাই গজালিয়া হোক একটি আদর্শিক সমাজের উদাহরণ। যুব সমাজের মাঝে ইসলামি অনুশাসনের চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। মসজিদকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় শিক্ষা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করতে পারলে মাদক ও জুয়ার প্রতি আসক্তি কমে আসবে।
আলেম সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন,যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি সম্পূর্ণ হারাম। বিয়ের নামে আজকাল যেভাবে অশ্লীলতা, ডিজে পার্টি ও গান-বাজনা হচ্ছে, তা বন্ধ না করলে আমাদের আগামী প্রজন্ম নৈতিকভাবে ধ্বংস হয়ে পড়বে।
সভা শেষে গঠিত হয় একটি প্রাথমিক কমিটি, যারা গজালিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং ইসলামি ও সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষায় কাজ করবে। স্থানীয়দের মতে, এমন সচেতনতামূলক সভা নিয়মিত হলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।