চকরিয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ
চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নস্হ ছড়াঘোনা নামক লবণ মাঠে প্রায় ৫০জন ডাকাতেরা গুলি বর্ষণ করে হামলা চালিয়ে লবণ সহ বিভিন্ন মালামাল মিলে ১৫ লক্ষ টাকা লুট করেছে।এবিষয়ে ঘোনাটি ইজারাদার মুহাং আলী বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেল) বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত ২৩ মার্চ রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ প্রায় ৫০ জনের একটি অস্ত্রধারি ডাকাত দল আমার মালিকানা ও ইজারাকৃত খুটাখালী ইউনিয়নস্হ হেতালিপাড়ার লাগোয়া পশ্চিমে আমার নিজ মালিকানাধীন আরএস ৫৬/৫ ও ৫৬/৬নং খতিয়ানের বিএস ৭৬নং খতিয়ানের সৃজিত বিএস ২২০ খতিয়ানের আন্দর ছড়াঘোনার মৎস্য প্রকল্প ও লবণ মাঠে মারাত্মক অবৈধ অস্তশস্ত্রে নিয়ে প্রবেশ করে।এসময় ডাকাতেরা ২৫/৩০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। তখন আমি ও আমরা প্রাণে বাঁচাতে পালিয়ে যায়।পরে আমি পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করি।এসময় ডাকাতেরা ৫০ বান্ডিল পলিথিন,৪টি ঝাকি জাল,৭টি বিহিঙ্গী জাল,চাষীদের উত্তোলন করা জমাকৃত ৩হাজার মণ লবণ ইঞ্জিন চালিত বোট যোগে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে ডাকাতদেরকে ধাওয়া করলে,ডাকাতেরা উল্টো পুলিশকে লক্ষ্য করে ২/৩ গুলিবর্ষণ করে।তবে ডাকাতদের মধ্যে কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছি।সেই ডাকাতেরা হলেন- চকরিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের করাইঘোনা এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মোঃ আনোয়ার (৪০),একই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জমির উদ্দিনের ছেলে আরহান মাহমুদ রুবেল(৩২),খুটাখালীর ৩নং ওয়ার্ডের স্কুল পাড়ার মৃত শফিউল আলমের ছেলে এনামুল হক,একই ওয়ার্ডের হেতালিয়া পাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে খলিলুর রহমান(৫০),একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মনজুর মাঝি,ইসলামপুরের জসিম উদ্দিন (৩৫),দক্ষিণ বাটাখালীর সাদ্দাম হোসেন মিন্টু,জমিদার বাড়ি ফুলছড়ির শেখ ইয়াছিন আরফাত গণি(৩৮) সহ অজ্ঞাত আরো রয়েছে।
চকরিয়া থানার এসআই (তদন্ত কর্মকর্তা) ফোরকানুল ইসলাম বলেন,আমি নাইট ডিউটিতে ব্যস্ত থাকায় অভিযোগের বিষয়ে খেয়াল রাখার সুযোগ হয়নি।অভিযোগটি দেখে তদন্ত সহ আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।