চকরিয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নস্হ ছড়াঘোনায় রাতের আধারে ফের চিহ্নিত ডাকাতদের হামলা,গুলিবর্ষণ,মালামাল লুট ও গুলিবিদ্ধ সহ আহত হন-৪জন লোক।
সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাত দেড়টার দিকে ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হেতালিয়াপাড়ার লাগোয়া পশ্চিমপাশে ছড়াঘোনায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন -রুহুল আমিন (গুলিবিদ্ধাহত),ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার মৃত নুরুল হকের ছেলে,নাসির উদ্দিন,একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাঁশকাটা এলাকার আব্দুল গণির ছেলে,একই ওয়ার্ডের ৩নং ওয়ার্ডের হেতালিয়া পাড়ার মনোয়ার আলম মনু,একই ওয়ার্ডের দুদু মিয়া।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে,ছড়াঘোনার ১১৪ পরিবারের অংশিদার বা ইজারাদার মুহাং আলী,জাহেদ হোছাইন,শিব্বির আহমদ,আনিসুর রহমান,সালাহ উদ্দিন ও মিনহাজ উদ্দিন,মোঃ বাবুল,জাফর আলম (সিআইপি),জমিরউদ্দীন,মোবারক হোসেন ছুট্রো গংরা জানান-আমাদের মালিকাধিন আরএস-৫৬/৫ ও ৫৬/৬নং খতিয়ানের আন্দর বিএস-৭৬ খতিয়ানের সৃজিত বিএস-২২০নং মৎস্য ও লবণ মাঠে সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাত দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার করাইঘোনা এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে ডাকাত সর্দা-আনোয়ার,তার সাথে ছিলেন-সহযোগি ডাকাত-পুতু মেম্বার,ইউসুফ,রুবেল,খলিল,কাজল,জসিম উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন মিন্টু,শেখ ইয়াছিন আরাফাত গণি সহ আরো ১০/১৫ অস্ত্রধারি ডাকাতের হঠাৎ এসে দু’পাশে ঘিরে এলোপাতাড়ি ৪০রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে।এমতাবস্থায় আমরা যে যেদিকে পারি,জান বাঁচানোর চেষ্টায় পালিয়ে যায়।এসময় মাছ ধরার জন্য পলবোটে থাকা রুহুল আমিনের গায়ে গুলি লাগলে,সে পড়ে যায়।এসময় ডাকাতেরা দৌঁড়ে এসে তাকে কোপাচ্ছে।তার চিল্লাচিল্লি শুনে বাকী আহতরা পালাতে গেলে তাদেরকে কুপানো,মারধর করে চারজনকে নিয়ে যায়,সঙ্গে মাছ,জ্বাল,মোবাইল,লবণ সহ মালামাল লুট করে ইঞ্জিন চালিত বোটের সহযোগিতায় নিয়ে যায়।এমতাবস্থায় কক্সবাজার Rab-15 এর টহল একটি টিম খবর পেয়ে ঘোনায় অভিযান চালিয়ে গুলিবিদ্ধ আমিনকে উদ্ধার করে।বাকীদের না পাওয়া Rab চলে যায়।তখন চারপাশ দিয়ে এলাকাবাসীর হৈ-হুল্লোড় আওয়াজে এগিয়ে আসার শব্দ করলে, ডাকাতেরা তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার সময় ৩জনকে আমলদারি ঘোনা ওলাকায় ফেলে চলে যায়। পরে বাকী আহতদের কে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান।বর্তমানে ডাকাত আতঙ্কে এলাকাবাসী নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। এবিষয়ে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য-গত ২৩ মার্চ রাতে একইভাবে গুলিবর্ষণ,মালামাল লুট সহ ১৫লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করছে।বিষয়টি থানার এসআই ফোরকানের কাছে তদন্তাধিন রয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন,ডাকাতির বিষয়ে মুহাং আলী বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন।সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এসআই কামরুলকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।পরে তদন্ত কর্মকর্তার উপর ভিত্তি করে মামলা রেকর্ড করা হবে বলে জানান।