বিশেষ প্রতিবেদক :
টেকনাফ হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালীস্থ নাছরপাড়া এলাকার জাফর আলমের ছেলে ইয়াবা ব্যাপারী আব্দুল্লাহ কারাগার থেকে বের হয়ে আবারো বীরদর্পে ইয়াবার কারবার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, খারাংখালীর ইয়াবা ব্যাপারী আব্দুল্লাহ দীর্ঘদিন যাবত ইয়াবা কারবারের সাথে সম্পৃক্ত। ইয়াবা সহ বেশ কয়েকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগও করেছিলেন তিনি। এরপরেও সে ইয়াবা সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড ছাড়তে নারাজ বলে সূত্রে জানা যায়।
এদিকে আব্দুল্লাহ মধ্যখানে মালয়েশিয়া পাড়ি জমালেও প্রবাস জীবনের সীমাবদ্ধ আয় তার মনঃপূত না হওয়ায় পুনরায় দেশে এসে ফের জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা কারবারে। ফলশ্রুতিতে গত বছর নভেম্বরে ইয়াবা সহ চট্টগ্রাম, বাকলিয়া থানায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১বছর কারাগারে ছিল।যার মামলা নাম্বার ৫৩ ছিল। জেল থেকে বের হয়ে তিন মাস না পেরোতেই ফের জড়িয়ে পড়েছে ইয়াবা কারবারে। বর্তমানে ইয়াবা পাচারের ভালো সুবিধার্থে কক্সবাজার শহরে ভাড়া বাসা নিয়েছে বলেও জানা যায়। উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে এক সময় পেটের ভেতর অভিনব কায়েদায় ইয়াবা পাচারেরও অভিযোগ ওঠেছে।
এদিকে, বেপরোয়া ইয়াবা কারবারি আব্দুল্লাহ’র লাগাম টেনে ধরতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এ বিষয়ে আব্দুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে সে জেলখানা থেকে কিছু দিন আগে বের হয়েছে বলে ফোন কেটে দেয়। এরপর একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেনি।
বলাবাহুল্য, সীমান্ত উপজেলা টেকনাফকে ইয়াবার স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিনত করে রেখেছে মানবতার শত্রু এসব ইয়াবা ব্যাপারী’রা। ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হলেও জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আবারো পুরোদমে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যায় এসব কারবারি’রা। ইয়াবার টাকার নেশায় মত্ত হয়ে ইয়াবা কারবার কোনভাবেই থামতে দিচ্ছেনা তারা। এদিকে কালো টাকার গরমে সমাজে সংঘটিত নানা ধরণের অপরাধের মূল হোতা এসব কারবারি’রা।
তাই শিক্ষিত ও সচেতন মহল দাবি করেন, যেকোন মূল্যে ইয়াবার শেকড় সহ মূলোৎপাটন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি টেকনাফের যেসব স্থানীয় বাসিন্দা বাহিরে বিশেষ করে কক্সবাজার ভাড়া বাসায় বসবাস করছে এদের প্রতি প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দরকার বলেও মনে করছেন তাঁরা। অন্যথায়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে বড় অশনিসংকেত অপেক্ষা করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।