নুরুল আমিন ছিদ্দিক,কক্সবাজার:
খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যে ভেজাল বন্ধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। এ আন্দোলনে সমাজের নেতৃস্থানীয়দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদের ইমাম কিংবা স্কুলের শিক্ষক তাঁরা সমাজকে সচেতন করতে পারেন।
বুধবার(১২ জুন)দুপুরে কক্সবাজারে শহিদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে হোটেল রেস্তোরাঁ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত কল্পে করণীয় শীর্ষক সেমিনারে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আমরা পারিবারিক পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস তৈরি ও প্রাকটিস বাড়াতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য নির্দেশিকা তৈরি করেছি। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ চলছে। এই কাজে সকলের অংশগ্রহণ ছাড়া সফল হওয়া সম্ভবনা।সেকারণে যার যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য নিজের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাবার প্রস্তুত করা ও গ্রহণ করা খুবই জরুরী বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পলিশ চাল না খেয়ে পুষ্টিকর লাল চাল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। চাল পলিশ করতে গিয়ে চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। আমরা নতুন আইন করেছি।সে আইনের প্রয়োগ শুরু হলে পলিশ বন্ধ হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ প্রণয়ন করেছে এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাসহ সংশি¬ষ্ট আইন ও বিধিবিধান তৈরি করেছে। পাশাপাশি, ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে অন দ্য স্পট স্ক্রিনিং, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, খাদ্যের উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যের নিরাপদতা ও পুষ্টিমান বজায় রাখা জরুরি। যিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তাঁর যেমন সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনি যিনি ভোগ করবেন, তাঁর ক্ষেত্রেও নিরাপদতা প্রত্যয়টি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে।
খাদ্য সচিব বলেন,পুষ্টিকর খাবার ছাড়া স্মার্ট নাগরিক গড়ে তোলা যাবেনা। স্মার্ট নাগরিক না হলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনও সম্ভব হবেনা।তাই আমাদের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন ও গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো: মনির উদ্দিন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: জাকারিয়া ও কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নাইমুল হক টুটুল।
অনুষ্ঠানে পর্যটন নগরী কক্সবাজার এর বিভিন্ন হোটেল রেস্তোঁরার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।