নিজস্ব প্রতিবেদক::
খরুলিয়ার কিশোর গ্যাং কালচারের মূলহোতা কফিল এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ছুরিকাঘাত করে মানুষ খুন করার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটানো ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চিহ্নিত এই আক্রমণকারী যুবককে আটক করতে সক্ষম হয়নি। এনিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার। অনেকেই প্রকাশ করছেন হতাশা। এদিকে তার ব্যাপারে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে এলাকাবাসী। এই কিশোর গতকাল ২৬ জুন শনিবার বিকেলে মোর্শেদ নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করেছে। পরে ছুরিকাঘাতপ্রাপ্ত ওই যুবককে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
এর আগেও কফিল খরুলিয়া এলাকায় চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং, মারামারি ও ইয়াবা পাচারসহ নানা ধরণের অপরাধ মূলক কাজ সংঘটিত করে ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী লোকজন।
সে ইতিপূর্বেও তার দলবল নিয়ে একাধিক ঘটনা সংঘটিত করেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। তার গ্রুপে বাজার এলাকার নুরুল আজিম ও লিংকরোড় মুহুরীপাড়া এলাকার জাহেদ উল্লেখযোগ্য বলে জানা যায়। এদের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সহযোগিতায় কফিল প্রতিনিয়তই এলাকায় কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। দুয়েক দিন পরপর সে যেভাবে হামলা মারধর করে যাচ্ছে তার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে লোকজন।
সপ্তাহ খানেক আগেও কফিল খরুলিয়া দরগাহ পাড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র মুফিজুর রহমানকে লোহার রড় দিয়ে আঘাত করে।
এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ফেরাতে কফিল ও তার তৈরি কিশোর গ্যাংয়ের অপরাপর সদস্যদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।
এবিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন- কফিল আগেও বিভিন্ন সময় মারামারি করেছে এমন নথি রয়েছে। সে এধরণের একটি মামলাতেও জড়িত বলে নিশ্চিত করেন। এছাড়াও তাকে আটকের ব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে আটক করা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।