ঈদগাঁও প্রতিনিধি।।
ক্রমাগত দূষণ ও দখলের ফলে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও নদী চিরায়ত রূপও গতিপ্রকৃতি যেমন বিলুপ্ত হতে চলছে তেমনি মানুষের জীবিকা, জীবনযাত্রা, পরিবেশ, প্রাণবৈচিত্র্যতা, বাস্তুতন্ত্র ও মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। কিন্তু নদী-খালগুলি ক্রমাগত দূষণ ও প্রভাব শালীদের অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে নদীর প্রাণ ও প্রাণবৈচিত্র্যতা। নদীগুলি পড়েছে চরম অস্তিত্বসংকটে। নদী সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোর দৃশ্যমান কোন ভূমিকাও অদৃশ্য। সরকারের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলাসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের মাধ্যমে দেশের নদ-নদী-খাল-বিল,জলাাশয়,হাওড়-বাঁওড়,ঝিল, সমুদ্রসৈকতকে রক্ষার করতে ব্যাপক গণ সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই । ফুলেশ্বরী নদী বাঁচলে ঈদগাঁও বাঁচবে, বাঁচবে এই অঞ্চলের মানুষ ও প্রকৃতি। ফুলেশ্বরী নদীকে বাঁচাতে আসুন সকলে সম্মিলিতভাবে ব্যাপক গন সচেতনতা গড়ে তুলি। ফুলেশ্বরী নদী রক্ষায় ঈদগাঁও’র সামাজিক সংগঠন “সম্মিলিত নাগরিক ফোরাম ‘ ও ‘ ফুলেশ্বরী নদী বাঁচাও আন্দোলন’ যৌথ উদ্যাগে বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দিয়েছে। ১. “ফুলেশ্বরী বাঁচান, ঈদগাঁও বাঁচান’ শ্লোগানে ফুলেশ্বরী নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন। ২. গণস্বাক্ষর কর্মসূচি। ৩. স্মারকলিপি প্রদান। ৪. ফুলেশ্বরী নদীর দূষণরোধে জনসচেতনতা মূলক প্রচারপত্র বিতরণ। ৫. নদী দূষণকারীদের চিহ্নিত করে রিভার কাউন্সেলিং। ৬. নদীভিত্তিক মোটিভেশনাল পাবলিক ওয়ার্ক। ৭. নদীভিত্তিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। নদী গল্প লেখা প্রতিযোগিতা,নদীভিত্তিক চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা। ৮. রিভার ফটোগ্রাফি কনটেস্ট। ৯. নদীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনী আয়োজন। ১০.নদীভিত্তিক বেস্ট রিপোর্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান। ১১. নদী মেলা। ১২. নৌকা বাইচ,নদী সাঁতার প্রতিযোগিতা আয়োজন। ১৩.সেমিনার ১৪. নদীধ্যান, নদী আড্ডা, নদী স্নান ও রিভার সারভাইভাল এন্ড এডভেঞ্চার কর্মসূচি। ১৬. কবিতা পাঠ – বিষয় নদী। ১৭. নদীভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন। ১৮.নদীভিত্তিক বইপড়া কর্মসূচী। ১৯. নদী রক্ষা শপথ ও নদীপুত্র খেতাব প্রদান। ২০. ফুলেশ্বরী নদীকে ঘিরে আধুনিক ইকো রিভার ট্যুরিজম গড়ে তুলতে সরকারের কাছে দাবি উত্থাপন করা। এ সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রাকপ্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফুলেশ্বরী নদী বাঁচাও আন্দোলনের প্রধান সমণ্বয়ক।