মিজানুর রহমান :
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় এখনও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ৫নং ওয়ার্ড গ্রামের ফয়জানি পাড়া ও জুম্মা পাড়ায়। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের এ গ্রামের দুটি এলাকার ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ২৭ জন। তারা চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধারণের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমনকি কোন গর্ভবতী মায়েদের জরুরি ভাবে হাসপাতালে নিতে চাইলে কোন যানবাহন পাওয়া যায় না। ফলে, গর্ভবতী মায়েদের সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাঁশখালী বা পেকুয়ায় নেওয়া হয়। এ অবস্থার অবসান হবে দ্রুত এমনটা প্রত্যাশা স্থানীয়দের। এদিকে, মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় গত মাসে ৫নং ওয়ার্ডের কয় জন গর্ভবতী মায়েরা সেবা নিয়েছেন এ তথ্য সংগ্রহে সরেজমিনে উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের বাঁকখালি কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায় নি। ক্লিনিকের মেইন গেইটে তালা পাওয়া যায়। কয়েকজন রোগীকেও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রায় ১ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোন কাজ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজ ছাত্র বোরহান উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, বহু দূরে কলেজ। সকালে কলেজে গেলে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তারা অভিযোগ করে বলেন, যোগাযোগ, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে। এখনও মৌলিক অধিকার বঞ্চিত এখানকার বাসিন্দারা। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম বলেন, এ গ্রামে লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া। বর্ষাকালে চলাচলের কোন প্রকার যানবাহন তো দূরের কথা বেড়ীবাঁধ দিয়ে হেঁটে পথ চলার উপায় টুকুও থাকেনা। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে, রোগী নিয়ে হাসপাতালে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনাকাটার জন্য বাজারে যাওয়া আসা এক চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে জানান। এব্যাপারে উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মনসুর রাব্বি দৈনিক রূপালী সৈকতকে জানান, গ্রামটি উন্নয়ন দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এ গ্রামে কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সে পরিকল্পনায় কাজ করছি। তবে, গর্ভবতী মায়েদের জন্য অতিশীঘ্রই ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিকল্প পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান।