সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চকরিয়ায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন রামুতে শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত নাইক্ষ্যংছড়ি বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে হয়ে যুবকের মৃত্যু!  কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্সের উদ্যোগে পর্যটক বান্ধব চালক কার্ড পেলো দ’শ চালক নাইক্ষ্যংছড়িতে অপারেশন ডেভিল হান্টে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার বাইশারীর বৃহত্তর নারিচবুনিয়া সমাজ কল্যাণ পরিষদের ৪৩তম সীরাতুন্নবী (সঃ) মাহফিল সম্পন্ন  দীপংকর তালুকদার কলেজ’এর নাম পরিবর্তন করে ‘বেতবুনিয়া কলেজ’ নামকরণ রাঙামাটিতে শহীদ কাশেমের গায়েবানা জানাজায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি পিএমখালীর সাধারণ মানুষের পছন্দের মার্কা ধানের শীষ: যুবদলের দ্বি—বার্ষিক সম্মেলনে ছৈয়দ নুর সওদাগর। গোপাল গঞ্জের শিপনের কারণে কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্টে লকারে পর্যটকের মালামাল চুরি!

কুতুবদিয়ায় জোয়ারের পানিতে বাঁধের ১৬ পয়েন্টে ভাঙ্গন !

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৬ মে, ২০২১
  • ৩৩৬ বার পঠিত

মিজানুর রহমান।
কক্সবাজারের দ্বীপ-উপজেলা কুতুবদিয়ায় ২৬ মে বুধবার বেড়িবাঁধের ১৬ পয়েন্টে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ডুকে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। তলিয়ে গেছে বেড়িবাঁধের আশে-পাশের পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ীসহ রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্টান। এতে করে অবর্ণনীয় দু:খ-কষ্টে রয়েছে ওসব এলাকার মানুষ। পূর্ণিমার তিথির ওপর ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র প্রভাব থাকায় বঙ্গোপসাগরে অত্যাধিক পানি বেড়ে যাওয়ায় নীচু বাঁধ হয়ে সহজে লোকালয়ে ডুকে পড়েছে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি। এ সময় বাতাসের গতি বেশী থাকলে গোটা কুতুবদিয়াই প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন অনেকে।
উপজেলার ৬ ইউনিয়নে দ্বীপরক্ষা বাঁধের প্রায় ৩/৪ কি.মি. ভাঙ্গন পয়েন্ট সমূহ হচ্ছে উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের‘পশ্চিম চরধূরুং, মিয়াজীর পাড়া, দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের লাইট হাউস পাড়া, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বিন্দাপাড়া, মতিরবাপের পাড়া, বড় মৌলভী পাড়া,মলমচর, বড়ঘোপ ইউনিয়নের উত্তর বড়ঘোপ, ঝাউতলা পাড়া, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কিরণ পাড়া, হায়দার পাড়া, কাজীর পাড়া, আনিচের ডেইল, বায়ু বিদ্যুৎ ও পশ্চিম তাবালেরচর ও লেমশীখালী ইউনিয়নের দরবার জেটির দক্ষিণ এলাকা।
উত্তর-দক্ষিণ অনেকটা লাউয়ের মত এ দ্বীপের গোটা পশ্চিম, দক্ষিণ ও উত্তর পয়েন্ট সরাসরি বঙ্গোপসাগরের সাথে ও পূর্ব পয়েন্ট কুতুবদিয়া চ্যানেল বেষ্টিত। যুগযুগধরে দ্বীপের পশ্চিম অংশে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেশী থাকলেও পূর্ব পয়েন্টে তেমন ভাঙ্গন ছিলনা বলে চলে। কিন্তু বিগত দু’দশক আগে থেকে পূর্ব পয়েন্টের প্যারাবন উজাড়, ব্যাপকহারে লবণমাঠ ও শুটকি মহাল করার কারণে এ পাশেও ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েই চলছে। ১৯৯১’র ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর বিধ্বস্ত বাঁধ পুন:নির্মাণের পর থেকে বিগত ৩০ বছরেও সংস্কার করা হয়নি পশ্চিম অংশের বেড়িবাঁধ। এমনকি বর্তমানে ১২০ কোটি টাকার চলমান নির্মাণ কাজেও পশ্চিম অংশ অন্তর্ভূক্ত না হওয়ায় পুরো এলাকা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
কুতুবদিয়ার মোট ৪০ বর্গ কি.মি.বেড়িবাঁধের মধ্যে অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রায় ২ কি.মি.বাঁধ বিধ্বস্ত ও পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ী ক্ষতিগ্রস্তের কথা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরের জামান চৌধূরী। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনো খাবার ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছেন বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs