নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় কৈয়ারবিল ইউনিয়নের তৌহিদুল ইসলাম নামের এক জেলেকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বোটের মালিক নজরুল কোম্পানির বিরুদ্ধে। আহত তৌহিদুল ইসলাম একই ইউনিয়নের খলিস্যা গুনা এলাকার রমিজের পুত্র।
গত ২৫ জুলাই সকাল ৯ ঘটিকায় কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইউনিয়নের বদাইয়্যা পাড়া জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আহত তৌহিদুল ইসলাম জনৈক ইলিয়াস কোম্পানির বোটে হালিয়া থাকে, নজরুল কোম্পানির বোটে হালিয়া না থাকায় তৌহিদুল ইসলামকে প্রায় সময় অশ্লীল গালি গালাজ সহ মারবে, ধরবে কাটবে, এমন কি খুন করবে বলেও বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জুলাই সকাল ৯ টায় ইলিয়াস কোম্পানির বোটের উদ্যেশ্য যাওয়ার সময় বদাইয়্যা পাড়া আজম কলোনী রোড়ের রাস্তার মাথায় নজরুল কোম্পানিসহ বেশ কয়েকজন লাটি ও লোহার রড দিয়ে ব্যপক ভাবে মেরে ১২ হাজার টাকার মত স্কিনটাস একটি মোবাইল নিয়ে নেয়। এবং তাকে মেরে তাদের স্থানে নিয়ে যায়। আত্মীয়-স্বজন খবর পেলে পুলিশ নিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে আহত তৌহিদুল ইসলামকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত তৌহিদুল ইসলাম বলেন,আমি নজরুল কোম্পানির বড় ভাই রেজা খান থেকে হালিয়া থাকব বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ছিলাম। সেখানে আমার ভালো লাগছে না বিধায় আমি তার টাকা পেরত দিতে অনেকবার চেষ্টা করেছি এবং টাকা দিতে গিয়েও ছিলাম হালিয়া না থাক বলে। কিন্তু তারা আমার টাকা না নিয়ে আমাকে ব্যাপক ভাবে মেরে আহত করে দেয়। আমি এর বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত নজরুল কোম্পানিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তাকে মারা হয়নি। সে আমার বোটে হালিয়া থাকবে বলে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে ছিলো। এখন বোটে যাওয়ার সময় হয়েছে, সে টাকা খেয়ে আর যাচ্ছে না। তাই তাকে আমরা ধরে নিয়ে আসছি। পুলিশসহ টাকা পেরত দেওয়ার কথা বলে এখান থেকে চলে যায়।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি গোলাম কবির বলেন,আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।