বার্তা পরিবেশক
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা রেবেকা সোলতানার অনিয়মের শেষ নেই।
সারকার এই ক্ষাতকে বরাবরই বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কিন্তু পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা রেবেকা সোলতানা নামের এ ধরনের দূর্নিতীবাজদের কারণে আজ সরকার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সফল হচ্ছে না।
ভোক্তভোগীদের অভিযোগ তিনি টাকা ছাড়া সেবা দেন না ক্লিনিকে, সরকারি ক্লিনিক সেন্টারে স্বামীর স্বপরিবারকে নিয়ে ব্যক্তি গত চেম্বার হিসেবে ব্যবহার করে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে রোগীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে টাকা আদায় করেই যাচ্ছেন । অফিস টাইমে ক্লিনিক ছেড়ে কন্টাক্টে বাসাবাড়িতে গিয়ে প্রসূতি সেবা দিয়ে টাকা কামাই করতেছেন বলেও জানা যায় স্থানীয়দের কাছ থেকে।
রাশেদা বেগম নামের এক ভোক্তভোগী জানান,আমার প্রচুর পরিমাণ ব্লাড যাচ্ছিলো, আমি কৈয়ারবিলের রেবেকা আপার কাছে গেলে আমাকে ৮ হাজার টাকা ছাড়া চিকিৎসা দিচ্ছিলো না, পরে আমার ছেলেকে ফোন করে বিকাশে টাকা দিয়ে আমাকে চিকিৎসা করেছে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য (সংরক্ষিত) রোকেয়া জানান,পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা রেবেকা সোলতানআর বিরুদ্ধে আমাকে আমার এলাকার মহিলারা অনেক অভিযোগ দিয়েছে তিনি নাকি এক ডেলিভারিতে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা নেন, বিষয়টি আমরা অবগত।
স্থানীয় বর্তমান ইউপি সদস্য (সংরক্ষিত) ফরিদা বেগম জানান,আমার কাছেও এই পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা রেবেকার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তিনি যে এক ডেলিভারিতে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা নেন এই বিষয়ে।
জেসমিন নামের এক ভুক্তভোগী রোগী বলেন, গত ৭ অক্টোবর ৩৫০০ টাকা নির্ধারণ করেন। এবং দুপুর ১২ টায় আমার বাসায় আসেন রেবেকা আপা, দুপুর দেড়টার সন্তান ভূমিষ্ট হয়। ডেলিভারি করার সময় ছোট সেখানে পাঁচটি সেলাই হয়েছে। ২টা সেলাই খুলে যাওয়ায় ১৩ অক্টোবর আবার ক্লিনিকে সোলে ক্ষতস্থানে পুনরায় সেল দিতে আট হাজার টাকা দাবী করেন রেবেকা আপা। টাকা না দেয়ায় ২/৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন। রোগীর স্বামী সাইফুর রহমান জানান কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক রেবাকা আপাকে অনেক অনুরোধ করার পরেও তিনি টাকা ছাড়া সেলাই দিতে রাজি হননি। রোগীকে ২ ঘন্টা বসিয়ে রেখে ভোগান্তি নেন। পরে আমি গিয়ে টাকা দিলে সেলাই করে দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান কান্তির কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা এ বিষয়ে অবগত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি ।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,উনার বিরুদ্ধে আমরা অনেক অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু তাদের উর্ধতন কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ গ্রহণ করে না কারণ তিনি সবাইকে টাকা দিয়ে বস করে রেখেছে। তারা আরও বলেন,উনি কি অভিযোগ গ্রহণ করবে উনিত আন অফিসিয়াল উনার পাশে মাঝে মাঝে বসে থাকতে দেখা যায়। একজন উপজেলা কর্মকর্তা যদি এভাবে উনার নিজের অফিস না করে অন্য একজনের পাশে থাকে তাহলে এভাবেতই চলবেই।