সরওয়ার সাকিব
করোনাকালীন সময়ে কক্সবাজার শহেরর মার্কেট গুলোতেও বেশ জমে উঠেছে ঈদ বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মার্কেট গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্যকরা যাচ্ছে। এতে বেশ বিক্রিও বেশ ভাল হচ্ছে বলে জানান দোকান মালিকরা।একই সাথে লকডাউন বা ঢাকাতে পাইকারী মার্কেট গুলো খুল না থাকার কারনে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাপড় চোপড় দিতে পারছেনা বলে জানান দোকান মালিকরা। একই সাথে মহিলাদের থ্রিপিস,শাড়ী,জুতা,সেন্ডেল সহ সহ কিছু বেশ ভালই বিক্রি হচ্ছে।প্রথম দিকে ক্রেতা একটু কম থাকলেও রোজা ২০ টার পরে বেশ জমে উঠেছে ঈদ বাজার।
সরজমিনে কক্সবাজার শহরের পানবাজার সড়ক,সুপার মার্কেট,ছালাম মার্কেট সহ বেশ কিছু মার্কেটের গিয়ে দেখা গেছে,ঈদ বাজার করার জন্য সকাল থেকে ভীড় লেগে থাকে ক্রেতাদের। ক্রেতাদের মধ্যে বেশি ভাগই মহিলা। তাদের মতে বেশির ভাগই শিশুদের জন্য কাপড়,জুতা বা অন্যান্য সামগ্রি কিনতে আসছে। পানবাজার সড়কে রামুর ইয়াছমিন আক্তার নামের এক ক্রেতার সাথে আলাপ কালে তিনি জানান,করোনার ভয় আছে তবুও ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটে এসেছি কারন বাড়িতে ছোট ছেলেমেয়ে আছে তারা বুঝতে চায়না। তাছাড়া কিছুদিন আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি তাই মেয়ের শশুর বাড়িতে কাপড় চোপড় দিতে হবে সে জন্য মার্কেটে এসেছি।বাংলাবাজার থেকে আসা সকিনা বেগম জানান, তার ছেলে মেয়েরা ঈদের কাপড়চোপড় কিনার জন্য বায়না ধরেছে তাই বাধ্য হয়ে মার্কেটে আসতে হয়েছে। কক্সবাজার শহর ছাড়াও রামু,মহেশখালী চকরিয়াতেও প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মার্কেট গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যাচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে এভাবে মার্কেটিং না করলেও পারতো তবে মানুষ তা বুঝতে চায়না। এই সুযোগে দোকান মালিকরাও প্রত্যেকটি পণ্যের দাম কয়েক গুন বাড়িয়ে নিচ্ছে। এছাড়া সরকারি ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য কিছু নিয়ম করে দিলেও মার্কেট গুলোতে তার কোন বালাই নেই। যে মাস্কপড়া, ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাউজার ব্যবহার করা সহ কিছু মার্কেট কতৃপক্ষ করার কথা কিন্তু তারা কিছুই করছেনা। তবে বেশ জমে উঠেছে ঈদ বাজার।