কক্সবাজার শহরে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (STP)/ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ETP) স্থাপন বিষয়ে হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক এবং হ্যাচারি মালিকদের সাথে কউকে মতবিনিময় সভা
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) এর মাল্টিপারপাস হল রুমে কক্সবাজার শহরে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (STP)/ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ETP) স্থাপন বিষয়ে হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক এবং হ্যাচারি মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার, এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন (অব.)। সভায় কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজ এবং হ্যাচারি মালিক/মালিক প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন (অব.) বলেন, ইতোমধ্যে ১৩৪টি হোটেল-মোটেল/গেস্ট হাউজ/কটেজকে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (STP) স্থাপন সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছিল। প্রতিউত্তরে জানা যায়, ০৬ টি হোটেলে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (STP) স্থাপন করা হয়েছে এবং ৩৯টি হোটেল-মোটেল/গেস্ট হাউজ/কটেজে ৩ চেম্বারবিশিষ্ট সেপটিক ট্যাংক রয়েছে। বাকি ৮৯টি পত্রের বিপরীতে কোন জবাব পাওয়া যায় নাই। তাই এ বিষয়ে হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি, হ্যাচারী মালিক সমিতি ও সাধারণ জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
পূর্বে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (STP)/ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ETP) স্থাপন সম্পর্কে অবগত না থাকায় ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল জোনে অনেক বহুতল ভবন নির্মাণ হয়ে গেছে যা অপসারণের সুযোগ নেই। তাই সেণ্ট্রাল স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (STP) স্থাপন করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বহুমুখী উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আর্থিক সহায়তা গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এ বিষয়ে কারিগরী দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য গবেষণা প্রয়োজন রয়েছে। স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (STP) স্থাপনের জন্য কউক বিষয়টি ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছে এবং এ বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক Feasibility Study এবং প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) লে: কর্নেল মো: খিজির খান, পি ইঞ্জ বলেন, মন্ত্রণালয় হতে Occupancy Certificate গ্রহণের বিষয়টি বাধ্যবাধকতামূলক করার নির্দেশনা রয়েছে। ভবণ নির্মাণের পূর্বে কউক হতে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র এবং ইমারতের নকশা অনুমোদনের সময় STP নির্মাণের বিষয়টি শর্ত আরোপ করা হয়। অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় লক্ষ করা গেলে Occupancy Certificate প্রদান করা হবে না এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে STP নির্মাণে অর্থায়নে বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ইতোমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যথাযথ প্রকল্প প্রস্তাবনা সহ STP নির্মাণে অর্থায়নের বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-এর সাথে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি জনাব আবুল কাসেম ও অন্যান্য প্রতিনিধিরা বলেন যে, কক্সবাজারে নির্মাণকৃত হোটেল/গেস্ট হাউজসমূহ ৪/৫ কাঠা জমির উপর নির্মিত বিধায় STP নির্মাণের সুযোগ নেই। কউক যদি সেণ্ট্রাল স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (STP) স্থাপণের উদ্যোগ গ্রহণ করে তাহলে এ বিষয়ে হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি আর্থিক সহযোগিতা এবং সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে। হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব নজিবুর রহমান বক্তব্য প্রদানকালে উক্ত মতের সাথে একমত পোষণ করেন।
এছাড়া সভায় আরো বক্তব্য প্রদান করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উপ নগর পরিকল্পনাবিদ মো:তানভীর হাসান রেজাউল,হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির প্রতিনিধি সেলিম নেওয়াজ,মুকিব খান এবং হাফিজুর রহমান প্রমুখ।