সরওয়ার সাকিবঃ
কক্সবাজারে বেড়েছে শিশুশ্রম। এছাড়াও স্কুল বন্ধ থাকায় পরিবারের অভাব মেটাতে আয় রোজগারের পথ বেছে নিয়েছে শৈশবকালের শিশুরা। তারা গার্মেন্টস, ওয়ার্কশপ, রিকশাচালক, এছাড়াও হোটেলসহ বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তেমনি এক শিশু মোহাম্মদ আজিজ। বয়স মাত্র ১০ বছর। পিতা আব্দুল আজিজ। কক্সবাজার শহরের ঘোনার পাড়ার বাসিন্দা। যে বয়সে তার খেলাধুলা করার কথা সহপাঠীদের সাথে স্কুলে যাবার কথা সে সময়ে সে পরিবারের হাল ধরেছে। কক্সবাজার শহরের গুমগাছতলা দিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল আজিজ কে চোখে পড়ল সে রিকশা চালাচ্ছে। তার কাছে জানতে চায় তার এই শিশুশ্রমে আসার কারণ।সে বলে করোনার লকডাউনের পর থেকে সে রিকশা চালায়। পরিবারের ভরণপোষণের জন্য টাকা দিতে হয়। তারা তিন ভাই তিন বোন সহ ৮ জনের একটি পরিবার। সেই সকাল থেকে রিকশা নিয়ে বের হয় রাতে বাসায় ফেরে। তার বয়স এত কম যে ঠিক মত কথা বলার ভাষা ও জানে না। কিন্ত পরিবারের অভাব মেটাতে যাত্রী নিয়ে রিক্সার চাকা ঘুরিয়ে যেতে হয় গন্তব্যে। সে কি না বুঝবে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে এবং রিকশা চালানো নিয়ম সম্পর্কে । রিকশা চালানোর সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এরকম মোহাম্মদ আজিজ এর মত অনেক শিশু রয়েছে যারা তাদের শৈশব হারিয়ে শিশুশ্রমে লিপ্ত হয়েছে। শৈশবকালে ছেলে-মেয়েরা পুরোপুরি গঠিত হয় না, তাই তারা শারীরিকভাবে আরও দুর্বল। যারা কাজ করতে বাধ্য হন তারা প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়ে, দুর্ঘটনা ঘটে এবং তাদের স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ করে দিয়ে ফলাফলগুলি প্রদান করেন। কর্মক্ষম শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর পরিণতিগুলি কেবল শারীরিক নয়। মানসিক স্তরে, তারা নেতিবাচক প্রভাবও ভোগ করে, অকালপূর্বে পরিপক্ক হওয়ার প্রয়োজন থেকে শুরু করে এবং শৈশবকালীন সাধারণ ক্রিয়াকলাপগুলি বিকাশ করতে সক্ষম হয় না। স্থানীয় সচেতন মহল বলেন যেকোনোভাবেই শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে। তবে শিশুশ্রম বন্ধ করার জন্য বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা আবশ্যক।” সবার আগে প্রয়োজন শিশুদের প্রতি আমাদের সহানুভূতিশীল মনোভাব, তাদের দেহ-মনের সুষ্ঠু বিকাশে আমাদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।