সরওয়ার সাকিব
কক্সবাজার পৌরসভার উপকূলবর্তী এলাকা সমিতি পাড়া। যে এলাকাকে ঘিরে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস সেখানকার রাস্তার দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা। যার ফলে ভোগান্তির শেষ নেই স্থানীয়দের। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কার না করার ফলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।খানাখন্দে ভরপুর রাস্তাটিতে হাসমেশাই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। অথচ এই রাস্তার ধারেই রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা স্কুল এবং বাজার। এছাড়াও রয়েছে মৎস্য শিল্প নাজিরার টেকের শুটকি, মুরগির খাবার উৎপাদন। যার কারণে এই রাস্তাটি মৎস্য শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এই রাস্তা উপরই নির্ভর করে চলাফেরা করে হাজার হাজার বাসিন্দা। কিন্তু এই খানাখন্দে ভরা রাস্তায় চলাচল করা খুব কষ্টসাধ্য এবং ঝুঁকিপূর্ণ। সরজমিনে সমিতি পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায় রাস্তায় যে বেহাল দশা এমন অবস্থায় সুস্থ মানুষ চলাফেরা করলে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।ইটের সলিং ঊঠে গিয়ে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়াও চারদিকে যে পরিমাণ ধুলাবালি যা পরিবেশকে প্রতিনিয়ত দূষিত করছে। সাম্প্রতিক বর্ষণে ওই সব গর্তে জল জমে প্রায় ডোবায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সমিতি পাড়া এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক আনসার উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, চার দিন আগে তিনি অসুস্থ এক নারীকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন।অসাবধানতাবশত হঠাৎ করে একটি গর্তে চাকা পড়ে গিয়ে রিকশাটি উল্টে যায়। এতে ওই রোগী এবং তিনি উভয়েই আহত হয়েছেন। এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার তিনি বলেন প্রতিদিন এ রাস্তাটি ব্যবহার করে আমাদের কলেজে যেতে অনেক সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ি এবং গাড়ি এমনভাবে নাড়াছাড়া দেয় যার ফলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আক্তার কামাল এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস এলাকাকে ঘিরে। ৬-৭ বছর আগে রাস্তার কাজ হলেও এরপর আর কাজ হয়নি। সম্প্রতি পৌরসভার উদ্যোগে কিছু অংশের কাজের টেন্ডার হয়েছে তবে সম্পন্ন কাজের টেন্ডার হয়নি। বাকি কাজ পরবর্তী টেন্ডারে শুরু হবে এমনটাই জানান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি যতদ্রুত সম্ভব রাস্তা সংস্কার করে তাদের এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে।