বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চলছে যৌথ বাহিনীর অভিযান:১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২ ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ মাতারবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে জশনে জুলুছ ফাসিঁয়াখালীতে ১০কেজি ওজনের অজগর সাপ উদ্ধার কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে পবিত্র মাহফিলে মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন রেকর্ড বৃষ্টিতে কক্সবাজার প্লাবিত, পাহাড় ধ্বসে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও কক্সবাজার সদরে ৬ জনের মৃত্যু সাধারণ মানুষকে পুলিশ হয়রানি করলে আমি তাকে হয়রানি করবো- কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক শিশু ছাত্রের শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষক আটক কুতুবদিয়ায় এক ডাকাত আটক চকরিয়া উপজেলার প্রশাসনের জায়গা দখলে নিল আদালত ভবনের কর্মচারী ও আইনজীবিরাঃহেনস্তা হলো সাংবাদিক

কক্সবাজার জেলা শহরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলিতে অজ্ঞাত এক তরুণ নিহত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৩ বার পঠিত

রূপালী সৈকত রিপোর্ট:

কক্সবাজার শহরের বিমানবন্দর সড়কের প্রবেশমুখ ঘুমগাছতলা নামক এলাকায় সরকারদলীায় নেতাকর্মী ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে গুলিতে অজ্ঞাত এক তরুণ (বয়স ২৫) নিহত হয়েছে। দু’পক্ষের হামলার ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৬/৭ জন।

রবিবার(৪ জুলাই)সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের বিমানবন্দর সড়কের প্রবেশমুখ ঘুমগাছতলা নামক এলাকায় সরকারদলীায় নেতাকর্মী ও আন্দোলনকারীরা মধ্যে ধাওয়া প্লাটা ধাওয়া, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় গুলিতে অজ্ঞাত এক তরুণ (বয়স ২৫) নিহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি দল শহরের দোকানপাট, পুলিশ বক্স ও বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছোড়া হয়। তখন ওই তরুণের বুকে গুলি লাগে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে কয়েকজন লোক গুলিবিদ্ধ ওই তরুণকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানায়, গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাতনামা ওই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আনার আগে তাঁর মৃত্যু হয়। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আন্দোলনকারীরা শহরের প্রধান সড়কের ঘুমগাছতলার (বন বিভাগের কার্যালয়ের সামনে) পুলিশের একটি চৌকিতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেন। এরপর কিশোর-তরুণেরা বিমানবন্দর সড়কে ঢুকে দুই পাশের দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করেন। এ সময় কয়েকটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই সড়কে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল হকের বাসভবন। আন্দোলনকারীরা সড়কটির সরকারি মহিলা কলেজ গেট এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সামনে পড়েন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। থেমে থেমে অন্তত ৩০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ছোড়া গুলিতে ওই তরুণ গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ব্যক্তির বাড়ি চকরিয়া উপজেলায় দাবি করা হলেও রাত ১০টা পর্যন্ত তাঁর পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি কেউ।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের নাম দিয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তিনিসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করতে এসেছিল। এ নিয়ে গোলাগুলিতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গোলাগুলির সঙ্গে দলের কেউ যুক্ত নন জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, সম্ভবত জামায়াত-শিবিরের গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার শহর শান্ত থাকলেও দুুপুর- সন্ধ্যা দিকে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এর আগে বিকেলে শহরের প্রধান সড়কে পৃথক সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগ। শহরের টেকপাড়া কালুর দোকান এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে দুই কিলোমিটার দূরে শহরের লালদীঘির পাড়ে পাবলিক হল মাঠে শান্তি সমাবেশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষ হলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলটি লালদীঘির পাড় এলাকায় আসে। এ সময় সড়কে পুলিশের কেউ ছিল না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs