মঈন উদ্দিন মুরাদ,কক্সবাজার:
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্তসময় পার করছে কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা।নিজেদের প্রতিষ্ঠানের প্রচার বাড়াতে ইতিমধ্যে কক্সবাজার পৌর এলাকা থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায়ে বিজ্ঞাপনী পোস্টার,মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে প্রচারনা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। উচ্চ শব্দের মাইকিং করে বিজ্ঞাপন প্রচারনায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।এতে নেই প্রশাসনের নেই কোন ব্যবস্থা।
স্হানীয় অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন,বর্তমান সময়ে ব্যবসায়ীরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানে প্রচারের জন্য যে পন্থা অবলম্বন করেছেন তা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষকরে পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কেনাকাটা করতে এসে মাইকিং এর কারনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে,পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে এসব কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে।কক্সবাজার মোবাইল গ্যালারির স্বত্বাধিকারী আকরাম জানান,ঈদ আসতে এখনও অনেক সময় বাকি রয়েছে এখন থেকে যদি ব্যবসায়ীরা এসব মাইকিং নেমে যায় তাহলে কাপড় ব্যবসায়ী ছাড়া অনান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। আগেরকার সময় আমরা দেখেছি নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ প্রদান করে প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালাত,তবে বর্তমানে এসব না করে উচ্চশব্দে মাইকিং ও গানবাজনার মাধ্যমে গ্রাহকের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।ফলে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষোভে রয়েছে।
কক্সবাজার শহরের প্রায় ১০ -১৫ টি দোকান ব্যতিত অনান্য দোকানগুলোতে তেমন মাইকিং সিষ্টেম নেই,এইসব দোকানগুলো থেকে মাইকিং প্রচারণা বন্ধ রাখতে পারে তাহলে ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি হবে পাশাপাশি পথচারীরাও একটি সুন্দর পরিবেশ ফিরে পাবে।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ এ নিরব, শিল্প,আবাসিক, মিশ্র ও বাণিজ্যিক —এ পাঁচটি এলাকা চিহ্নিত করে শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী, নীরব এলাকায় দিনে (ভোর ছয়টা থেকে রাত নয়টা) ৫০ ডেসিবেল ও রাতে (রাত নয়টা থেকে ভোর ছয়টা) ৪০ ডেসিবেল, আবাসিক এলাকায় দিনে ৫৫, রাতে ৪৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ করা নিষেধ। মিশ্র এলাকায় দিনে ৬০ ও রাতে ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে শব্দ থাকার কথা। কিন্তু এসব পরিবেশের নিয়ম কানুনকে তোয়াক্কা না করে মাইকের অবাধ ব্যবহার করছে কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন ও ক্ষুদে বার্তায়ও কোন ধরনের উত্তর পাওয়া যায় নি।