রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রেকর্ড বৃষ্টিতে কক্সবাজার প্লাবিত, পাহাড় ধ্বসে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও কক্সবাজার সদরে ৬ জনের মৃত্যু সাধারণ মানুষকে পুলিশ হয়রানি করলে আমি তাকে হয়রানি করবো- কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক শিশু ছাত্রের শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষক আটক কুতুবদিয়ায় এক ডাকাত আটক চকরিয়া উপজেলার প্রশাসনের জায়গা দখলে নিল আদালত ভবনের কর্মচারী ও আইনজীবিরাঃহেনস্তা হলো সাংবাদিক রোদ-বৃষ্টি আধার রাতে;আমরা আছি রাজপথে-চকরিয়াতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক-হাসনাত আব্দুল্লাহ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় স্বর্ণপদকসহ চার সাংবাদিককে সম্মাননা দিবে “বনেক” কক্সবাজারে “কনসাল্টেটিভ মিটিং উইথ স্টেকহোল্ডারস টু এনশিউর ইকোনমিক ইন্টিগ্রেশন ফর দি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং সারভাইভারস” শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত সেভ দ্যা হিউমিনিটি কক্সবাজারের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ২০২৪ সম্পন্ন আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদক সহ তিন চিকিৎসক।

কক্সবাজারে মাইকে উচ্চ শব্দে বিজ্ঞাপণী প্রচারনায় অতিষ্ঠ মানুষ!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪
  • ১৭৯ বার পঠিত

মঈন উদ্দিন মুরাদ,কক্সবাজার:

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্তসময় পার করছে কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা।নিজেদের প্রতিষ্ঠানের প্রচার বাড়াতে ইতিমধ্যে কক্সবাজার পৌর এলাকা থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায়ে বিজ্ঞাপনী পোস্টার,মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে প্রচারনা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। উচ্চ শব্দের মাইকিং করে বিজ্ঞাপন প্রচারনায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।এতে নেই প্রশাসনের নেই কোন ব্যবস্থা।

স্হানীয় অনেক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন,বর্তমান সময়ে ব্যবসায়ীরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানে প্রচারের জন্য যে পন্থা অবলম্বন করেছেন তা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষকরে পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কেনাকাটা করতে এসে মাইকিং এর কারনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে,পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে এসব কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে।কক্সবাজার মোবাইল গ্যালারির স্বত্বাধিকারী আকরাম জানান,ঈদ আসতে এখনও অনেক সময় বাকি রয়েছে এখন থেকে যদি ব্যবসায়ীরা এসব মাইকিং নেমে যায় তাহলে কাপড় ব্যবসায়ী ছাড়া অনান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। আগেরকার সময় আমরা দেখেছি নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ প্রদান করে প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালাত,তবে বর্তমানে এসব না করে উচ্চশব্দে মাইকিং ও গানবাজনার মাধ্যমে গ্রাহকের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।ফলে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষোভে রয়েছে।

কক্সবাজার শহরের প্রায় ১০ -১৫ টি দোকান ব্যতিত অনান্য দোকানগুলোতে তেমন মাইকিং সিষ্টেম নেই,এইসব দোকানগুলো থেকে মাইকিং প্রচারণা বন্ধ রাখতে পারে তাহলে ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি হবে পাশাপাশি পথচারীরাও একটি সুন্দর পরিবেশ ফিরে পাবে।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ এ নিরব, শিল্প,আবাসিক, মিশ্র ও বাণিজ্যিক —এ পাঁচটি এলাকা চিহ্নিত করে শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী, নীরব এলাকায় দিনে (ভোর ছয়টা থেকে রাত নয়টা) ৫০ ডেসিবেল ও রাতে (রাত নয়টা থেকে ভোর ছয়টা) ৪০ ডেসিবেল, আবাসিক এলাকায় দিনে ৫৫, রাতে ৪৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ করা নিষেধ। মিশ্র এলাকায় দিনে ৬০ ও রাতে ৫০ ডেসিবেলের মধ্যে শব্দ থাকার কথা। কিন্তু এসব পরিবেশের নিয়ম কানুনকে তোয়াক্কা না করে মাইকের অবাধ ব্যবহার করছে কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন ও ক্ষুদে বার্তায়ও কোন ধরনের উত্তর পাওয়া যায় নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs