# উচ্ছেদ মামলা করা হয়েছে
# অভিযান বন্ধ রাখতে তদবির
# প্রশাসনের সমন্বয়হীনতা
# বনবিভাগে জনবল সল্পতা
# প্রভাবশালীদের সাথে দখলদারদের আতত
মোঃ নেজাম উদ্দিন।
বনবিভাগের জায়গায় গড়ে উঠেছে অবৈধ বিলাস বহুল
দালান কৌটা। আর তাতে বনভিাগের যেন অভিযান না হয় সেই তদবির করে চলেছেন বনবিভাগের জায়গায় দালান ঘরের মালিক ফিরোজ। ইতিমধ্যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে কক্সবাজারের শীর্ষ নেতাদের দিয়ে ফোনে লবিং চলামন রয়েছে বলে একটি সুত্র জানিয়েছে।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের বিভিন্ন
বনবিট এলাকায় থেমে থেমে চলছে বনভূমি দখল উচ্ছেদ। এসব অভিযানে প্রকৃতি প্রেমীদের মাঝে খুশি বিরাজ করলেও ক্ষোভে ফুঁসছে ভাঙ্গনের কবলে পড়া দখলকাররা। কারো ঝুপড়ি, কারো কাঁচা বাড়ি বা কারো বনের সমতল এলাকার ঘর ভাঙ্গলেও ফুলছড়ি রেঞ্জের নাপিতখালী বিটের সড়কের পাশে বনায়ন ও পাহাড় কেটে উঠতে থাকা সুরম্য দালানটি তাদের ক্ষোভের অন্যতম কারণ। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও থানা ভবনও ফকিরাবাজারের পাশে লাগোয়া সামাজিক বনায়নের গাছ ও পাহাড় কেটে প্রায় দু’একর জমি কাঁটাতারের ঘেরা দিয়ে বিশালাকার দৃষ্টিনন্দন ভবন তুলছেন ফিরোজ আহমদ নামে (স্থানীয় ভাবে থানার দালাল হিসেবে পরিচিত) একব্যক্তি।ভবনের পাশে তৈরি হয়েছে টিনের ছাউনি দেয়া ভাড়া বাসাও। স্থানীয়রা বলছে, বনবিভাগসহ সকল সেক্টর ম্যানেজ করেই
ফিরোজ অত্যাধুনিক বাড়িটি করছেন। ২০২০ সালের করোনাকাল হতে ভবন নির্মাণ কাজ এক বছর ধরে চললেও একটি বারের জন্যও বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা অন্যকোন সংস্থা সড়ক থেকে দৃশ্যমান এ
নির্মাণ কাজে বাধা দিতে যায়নি। ফলে, ফিরোজের
সিন্ডিকেটের প্রচার করা তথ্যই সঠিক ভেবে স্থানীয়
বনপ্রেমী জনতা কিংবা পরিবেশবাদী সংগঠনও এর
প্রতিবাদ করছে না।এদিকে বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে এমন অভিযানের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত জনবল । সে দালান কৌটা করে ফেলেছে অবশ্যই একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর মাধ্যমে এই অভিযান পরিচালনা করতে হবে। তাতে আমরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা পাচ্ছিনা।জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে শীগ্রই বনবিভাগ অভিযান চালাবেন বলে জানা গেছে।বনবিভাগের জমিতে ভবন তোলার কথা স্বীকার করে ফিরোজ আহমদ বলেন, মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, যেখানে বাড়ি করেছি এটি বনবিভাগের জায়গা শুধু আমি কেন, আমার পাশে অনেকেই আছে বন বিভাগের জমিতে ঘর করে আছে। আমার বাবা এখানে বাড়ি করেছেন অনেক আগে বাড়িটি আমি সংস্কার করেছি মাত্র । ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, উচ্ছেদ মামলা করা হয়েছে । আমরা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে এই সমস্ত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের শুরুতে এখানে দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন অভিযানে উচ্ছেদে গেলে অনেকে ফিরোজের বিষয়টি সামনে আনেন। খোঁজ নিয়ে দেখেছি যেখানে সুরম্য বাড়িটি করা হচ্ছে তা ২০০৭-
২০০৮ সনের সামাজিক বনায়ন। ঘর করতে গিয়ে গাছ ও
পাহাড় কেটেছেন নির্বিচারে। এটি বনের অনেক
মূল্যবান জায়গা। ফিরোজের পক্ষ হয়ে দায়িত্বশীল
জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা নামধারী ব্যক্তি,
একাধিক চেয়ারম্যান নানা ভাবে ফোন করছে। আগে কি
হয়েছে জানিনা, আমি বনবিক্রির মতো অপকর্ম করিনি।
শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা পেলে আইনি প্রক্রিয়ায়
এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দু’মিনিটও চিন্তা করবো না।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল
হালিম বলেন, আমি আসার পর হতে একবার তাকে দেখেছি । এরপর তার থানায় ঢুকাও নিষেধ কার হয়েছে।
কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উত্তর) মো. তহিদুল
ইসলাম জানান, কক্সবাজারের বন দেশ এবং স্থানীয়দের সম্পদ। এটি রক্ষায় বনবিভাগকে সহযোগিতা করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। এ দালানটির বিষয়ে জেনেছি। উচ্ছেদ মামলা করা হয়েছে বনবিভাগ থেকে। আমরা আশা করছি শীগ্রই এই বনভুমি উদ্ধার করতে পারবো ।