রিয়াজ উদ্দিন:
কক্সবাজার পৌরসভার রুমালিয়ারছড়া এলাকায় আরমান হোসেন জনি ও জুবায়ের নামের দুই যুবকে চুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় কক্সবাজার শহরের শীর্ষ দুই ছিনতাইকারী।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭:৩০ মিনিটের সময় কক্সবাজার পৌরসভার রুমালিয়ারছড়া সড়কে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আনুমানিক ৭:৩০ মিনিটের সময় রুমালিয়ারছড়া সড়কে বুলেট ও কালু নামের দুই ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাত প্রাপ্ত দুই যুবকের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাদের ধারালো চুরি দিয়ে চুরিকাঘাত পরে পালিয়ে যায়।
এসময় স্হানীয়রা আহত দুই যুবককে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরমান হোসেন জনি নামের একজনের অবস্হা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতপ্রাপ্ত অন্যজন অর্থ্যাৎ জুবায়ের নামের একজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে ঘটনা শোনার পর চুরিকাঘাতে আহত রোগীদের দেখতে যান কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, পৌর যুবলীগের সভাপতি ডালিম বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেদ ইমরান,কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ ইমরান বলেন, আজকের এই ঘটনাটি হয়েছে আমার বাসার পাশে। রুমালিয়ার ছড়া সড়কে ৮-১০জনের একটি ছিনতাইকারী দল আছে যাদের হাতে সর্বদা ছুরি, ব্লেইড থাকে। সুযোগ পেলে তারা কক্সবাজার থেকে খুরুশকুল, ঈদগাঁও তে যাতায়াতকৃত পথচারীকে আক্রমন করে মোবাইল ও টাকা সহ যা যা থাকে সবকিছু ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। যদি বাধা দিলে তাদের উপর এলোপাতাড়ি ছুরি চালায়। এইবিষয়ে শহর পুলিশ ফাড়িঁকে অবগত করেছি।
এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে কক্সবাজার সদর থানার ওসি এবং পুলিশ ফাড়িঁ বরাবর আমরা খুরুশকুল রোডের সমাজ সমিটি দোকান মালিক সমিতি পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এই রোডে চিহ্নিত ছিনতাইকারী প্রতিদিন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল সহ যা পায় তা নিয়ে পালিয়ে যায়। এতে পথচারীরা বাধা দিলে তাদের উপর ছুরি চালায়। আজকেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে এই রোডে।
ঘটনার বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা কাউসার হামিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,চুরিকাঘাতের খবর পাওয়ার সাথে সাথে কক্সবাজার সদর মডেল থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।