রিয়াজ উদ্দিন:
গেল কয়েকদিন ধরে কক্সবাজারে ট্রাফিকের দায়িত্বে যেখানে কেউ ছিলনা, তখনই শহরের যানজট নিরসনের হাল ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা কোন কিছুকে তুয়াক্কা না করে , বৃষ্টি বাদল দিনেও বিনা পারিশ্রমিকে এদেশকে একটি সোনার বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য এদেশের তরুণরা দিনরাত পরিশ্রম করেই যাচ্ছে।
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে কোস্ট ফাউন্ডেশন কক্সবাজার। গেল কয়েকদিন থেকে তারা কক্সবাজারে ট্রাফিকের দায়িত্বে ও কক্সবাজারকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বরত শিক্ষার্থীদের শুকনা খাবার বিতরণ ও দুপুরের ভোজনের সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে এদেশের তরুণদের সোনালী স্বপ্নকে বাস্তবায়নে সবার্ত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে মর্মে উল্লেখ করেন কোস্ট ফাউন্ডেশন কক্সবাজার এর সহকারি পরিচালক ও কক্সবাজারের জনবহুল পত্রিকা দৈনিক রূপালী সৈকতের উপদেষ্টা সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
এসময় তিনি জানান, কোস্ট ফাউন্ডেশন মূলত সবসময় দেশের ক্রান্তিলগ্নে এই পরিবেশগুলোতে আমরা মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমরা সকলেই জানি, গত ৬ই আগস্ট থেকে আমাদের ছাত্র—ছাত্রীরা কিন্তু ট্রাফিকের ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজের দায়িত্বে আছে। কোন ধরনের তাদের দক্ষতা ছিলনা, কোন প্রশিক্ষণ ছিল না। তারপরেও তারা যেভাবে শৃঙ্খলার সাথে গত ৬ তারিখ থেকে কক্সবাজারকে একটি যানজটমুক্ত শহরে পরিণত করার জন্য যে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে তা অতুলনীয় এবং ইতিহাসে তারা নজির স্থাপন করেছে। শিক্ষার্থীরা পারেনা এমন কিছুই নেই পৃথিবীর ইতিহাসে। নি:সন্দেহে তারা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য বলে আমি মনে করি। আপনারা জানেন, কক্সবাজারে অনেকগুলো দেশী, বিদেশী অনেক সংগঠন আছে। বিশেষ করে কোস্ট ফাউন্ডেশন, গত কয়েকদিন ধরে কক্সবাজার ডলফিন মোড় থেকে লিংকরোড সহ বিভিন্ন মোড়ে যারা ট্রাফিকের দায়িত্বপালন করছে, তাদেরকে আমরা শুকনো খাবার দিয়েছি এবং দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেছি। আজকেও আমরা আসছি কিছু ফ্রুটস নিয়ে, আমাদের শিক্ষার্থীরা সারাদিন এই আলপনা গুলোর সাথে জড়িত আছে, তাদের জন্য আমরা আজকে কিছু ফ্রুটস, কেক নিয়ে আসছি যাতে তাদের কাজ আরো বেগবান হয়। আমরা তাদের সাথে একমত পোষণ করছি, তাদের যে স্প্রীড, মেধা সেটাকে আমরা স্যালুট করছি । আমরা চাই আগামীতে যে একটা সুন্দর রাষ্ট্র হবে সেই সুন্দর রাষ্ট্রের নেতৃত্বে তারা থাকবে। আমরা তাদের পেছনে থেকে কাজ করব, তাদের সকলের জন্য আমরা শুভ কামনা করছি।