বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মহেশখালীতে নবাগত ইউএনও সাথে সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় কক্সবাজার পৌর, সদর ও রামু উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত, নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন মহেশখালীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ চকরিয়ায় হাইব্রীড ধান ও উফশী সার পেয়ে খুশিতে উৎফুল্ল উপকারভোগী কৃষকেরা চকরিয়ায় উপজেলা কৃষকদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এখন কক্সবাজারে। নাফ নদে সতর্কতা জারি করে মাইকিং মহেশখালীতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন  জয় কারাতে একাডেমির কমিটি সংস্কার: দায়িত্বে মুকুল, আবছার, জয়দেব শীর্ষ ৬ দালালের নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজারের পতিতা ব্যবসা

কক্সবাজারের পেকুয়ায় কোটি টাকা মূল্যের বিএম আই অডিটরিয়াম ভবন এখন ভূতুড়ে ঘর !

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১
  • ৩০৯ বার পঠিত

শাহাদাত হোছাইন পেকুয়া

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সুষ্ঠ তদারকির অভাবে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকা মূল্যের পেকুয়ার বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিএমআই) অডিটরিয়াম ভবন ও অত্যাধুনিক মূল্যবান জিনিস সামগ্রী। পেকুয়ার একমাত্র এই অডিটরিয়াম অব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠ তদারকির অভাবে বর্তমানে ভূতুড়ে ঘরে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে, প্রায় তিন ফুট ময়লা-আবর্জনার নিচে তলিয়ে গেছে অডিটোরিয়ামের ফ্লোর। ফ্লোরে জমে আছে হাঁটু পরিমাণ ময়লা পানি। কিছু ভাঙ্গা কাঠের টুকরো প্রমাণ করছে মঞ্চের অস্তিত্ব। অধিকাংশ ফ্যান ও চেয়ার ভাঙ্গা । হদিস নেই লাইট ও সাউন্ড সিস্টেমের। দরজা নেই বললেই চলে। প্রায় সবকটি জানালার কাচ ভাঙ্গা। ছাদের একটি অংশ ভেঙে সূর্যের আলো প্রবেশ করাতে খসে পড়া পলেস্তারা ও দেয়ালের ফাটল দৃশ্যমান। তথ্য সংগ্রহে জানা যায়, পেকুয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিএমআই) এর পাশে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত অডিটরিয়ামটির ২০০৩ সালের ২০ মার্চ কাজ শুরু হয়। এরপরের একই বছরের ১৮জুন আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন তৎকালীন সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমদ। শুরুর কয়েকবছর অডিটরিয়ামটির সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে তা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে থাকা অডিটোরিয়ামটি হাতবদল হয়ে বর্তমানে পেকুয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট’র তদারকিতে আসলেও তারা এ বেহাল দশার দায় নিতে অনিচ্ছুক। পেকুয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট’র অধ্যক্ষ এ এম ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘অডিটরিয়ামটি আমাদের তদারকিতে আসার আগে থেকে এই বেহাল অবস্থায় ছিলো। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আনসার সদস্যরা এখানে বসবাস শুরু করে। তাঁরা যাওয়ার আগে অডিটোরিয়ামকে গোয়াল ঘরে পরিণত করে। এটি সংস্কারের উদ্যোগ নিতে প্রধান নির্বাহী প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ ও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেও কোন সুরাহা মেলেনি। আমি এবিষয়ে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলমের সহযোগিতা কামনা করছি। ২০০৯ সালের আগে ৬০০ আসনের এই অডিটরিয়ামটি মুখর ছিল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকাণ্ডে। নিয়মিত চলতো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও সংস্থার সভা, সেমিনার। বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনেক অনুষ্ঠানও ধারণ করা হয়েছে এই অডিটরিয়াম থেকে। চোখের সামনে সংস্কৃতির এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নষ্ট হয়ে যাওয়াতে হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। সাংস্কৃতিককর্মী ইমরান হোছাইন বলেন, অডিটোরিয়ামটি উদ্বোধনের পর পেকুয়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গন বিকাশের একটি দ্বার উন্মোচিত হয়েছিলো। কিন্তু এভাবে অযত্ন-অবহেলায় এটি নষ্ট হয়ে যাওয়া পেকুয়া বাসীর জন্য খুবই হতাশা জনক। সাংস্কৃতিককর্মী পারভেজ বলেন, সাংস্কৃতিক ও বিনোদন জগতের একমাত্র উপযোগী স্থান এই অডিটরিয়াম। এটি রক্ষা করতে না পারলে চরম ক্ষতির মুখে পড়বে বিনোদন জগৎ। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাছেম বিল্যাহ বলেন, পেকুয়ায় এমন একটি অডিটরিয়াম আছে তা আমি জানতাম না। নিঃসন্দেহে পেকুয়ার সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্য এটা বড় সম্পদ। আমি সরেজমিন এটি পরিদর্শন করে বিস্তারিত তথ্য জেনে পরবর্তীতে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে তা জানাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs