বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজারের খুরুশকুলে কুলিয়া পাড়া এলাকায় খতিয়ান ভুক্ত জায়গা ও দোকান দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইমরান, বোরহান ও নুরুল বশরের বিরুদ্ধে।
জানা যায়,গত ২০২০ সালে রেজিঃযুক্ত দলিল মূলে উক্ত এলাকার মোহাম্মদ আবদুল্লাহর পিতা মনজুর আলম থেকে মৌজা মুলে ক্রয় করে রিদোয়ান নামের এক ব্যাক্তি। যার খতিয়ান নাম্বার ১৩৯৩৭।
তিনি উক্ত দোকান মাসিক হিসেবে ভাড়া দেয় ইমরানকে। সে তিন বছর ভাড়া দেওয়ার পর আর ভাড়া না দিয়ে তার দোকান বলে দাবি করে জোরপূর্বক দখলে নেয়। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ির করেন ভুক্তভোগী রিদোয়ান।
ভুক্তভোগী রিদোয়ান বলেন, আমি দিনে রাতে টমটম চালিয়ে আমার শশুর থেকে বউ বাচ্ছা নিয়ে মাথা গোজার ঠাইয়ের জন্য ৫০ অযুতাংশ জায়গা কিনি। সে জায়গার দোকান ইমরানকে মাসিক ভাড়া দিলে ভাড়া না দিয়ে আমার দোকান ও জায়গা দখলে নিতে চায় সে। স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে তাকে কয়েকবার নোটিশ দিলেও সে উপস্থিত হয়না। আমি নিরোপায় হয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন সুরহা মিলছে না। এই জায়গা যদি দখলে নিয়ে ফেলে আমার বউ বাচ্ছাসহ পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী রিদোয়ান।
তিনি আরও বলেন, তপশীলোক্ত জমি ও তৎস্থিত দোকানগৃহ আমার খরিদা মালিকানাধীন সম্পত্তি হয়। বিগত ২৯/১১/২০২০ইং তারিখ রেজিঃযুক্ত দলিল নং- ৪১১৩ মূলে আমি জনৈক মনজুর আলম, পিতা- মৃত মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হতে উক্ত আয়গা ও দোকান ক্রয় করে আমি মালিকানা অর্জন করি। উল্লেখ্য যে,আমি মালিকের ভাড়াটিয়া হিসাবে দোকান পরিচালনা করে আসতেছি। আমি জায়গা ক্রয়কালীন পূর্ব মালিক উক্ত মনজুর আলম নিজেই আমাকে এমরানকে মোকাবিলা করিয়ে দেয় এবং দোকানের ভাড়ার টাকা আমাকে প্রদান করার জন্য বলে। ইমরানকে ঐসময় উক্ত দোকানগৃহ আমাকে ছাড়িয়া দিতে বললে তারা ইতিপূর্বে সম্পদিত দোকানের ভাড়া চুক্তিপত্রের মেয়াদকাল ১৮/০৯/২০২৩ইং তারিখ শেষ হওয়ার পর আমার অনুকূলে দোকান বুঝিয়ে দিবে মর্মে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। তৎপরবর্তী হতে তারা প্রায় ০৩ (তিন) বছর যাবত আমাকে দোকানের ভাড়ার টাকা পরিশোধ করে। চুক্তির নির্ধারিত মেয়াদ শেষে তারা দোকান ছাড়িয়া দিতে বললে গত ০৩/১০/২০২৩ইং তারিখ ইমরান সাক্ষীদের উপস্থিতিতে নিজ হস্তে লিখিতমতে অঙ্গীকার করে যে, সে আমাকে ০১ (এক) মাসের মধ্যে দোকান ছাড়িয়া দিবে। কিন্তু এখনো তারা আমার অনুকুলে দোকান ছাড়িয়ে দেয় নাই। ইতিপূর্বে উক্ত বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করলে ইউপি চেয়ারম্যান শালিসী মামলা নং- ১০৫/২০২৩ইং মূলে ইমরানকে পরিষদে তলব করলে সে সমস্ত ঘটনা স্বীকার করে এবং আমাকে দোকানের বকেয়া ভাড়া পরিশোধ সহ দোকানগৃহ আমার অনুকূলে বুঝাইয়া দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। অন্যাথায় আমাকে উচ্চ আদালতে আইনের আশ্রয় গ্রহণের পরামর্শ দেন। ইমরান স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী প্রকৃতির লোক হওয়ায় তারা স্থানীয় কারো বাধা-নিষেধ তোয়াক্কা না মরে আমার উক্ত দোকানগৃহ বুঝিয়ে দিতেছে না।
সর্বশেষ ঘটনার দিন ১০/০৮/২০২৪ইং তারিখ বিকাল অনু: ৪.০০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল কক্সবাজার সদর থানাধীন খুরুশকুল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কুলিয়াপাড়া এলাকাস্থ আমার খরিদা মালিকানাধীন তপশীলোক্ত জায়গায় স্থিত দোকানগৃহে গিয়ে ইমরান উক্ত দোকানখানা আমার অনুকূলে ছাড়িয়া দিতে বলিলে তাহারা দোকান ছাড়িয়া দিতে অস্বীকৃতি জানাইতেছে এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতঃ মারিবে, কাটিবে, খুন-খারাবী করিবে ইত্যাদি হুমকি প্রদান করতেছে।