বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মহেশখালীতে নবাগত ইউএনও সাথে সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় কক্সবাজার পৌর, সদর ও রামু উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত, নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন মহেশখালীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ চকরিয়ায় হাইব্রীড ধান ও উফশী সার পেয়ে খুশিতে উৎফুল্ল উপকারভোগী কৃষকেরা চকরিয়ায় উপজেলা কৃষকদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এখন কক্সবাজারে। নাফ নদে সতর্কতা জারি করে মাইকিং মহেশখালীতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালন  জয় কারাতে একাডেমির কমিটি সংস্কার: দায়িত্বে মুকুল, আবছার, জয়দেব শীর্ষ ৬ দালালের নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজারের পতিতা ব্যবসা

ও এম এস ডিলারের লাইসেন্স পেতে মরিয়া পুরনো আওয়ামী সিন্ডিকেট, আবেদন জমা পড়েছে ১৩৬ টি

হায়দার নেজাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২২ বার পঠিত

হায়দার নেজাম :

বর্তমান সরকার গত আওয়ামী সরকারের পৃষ্ঠপোষক কক্সবাজার পৌরভার বারোটি ওয়ার্ড় সহ দেশের সমস্ত ও এম এস ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ শে অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে কক্সবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে কক্সবাজার পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ড় থেকে নতুন ও এম এস ডিলারের খূজে স্হানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তবে থেমে নেয় সেই চিরচেনা আওয়ামী সিন্ডিকেটের দল।

কক্সবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কর্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় তারা আবার সঙ্গবদ্ধ হয়ে আগের ডিলারের নাম পাল্টিয়ে অন্য নামে ও এম এস ডিলারের লাইসেন্সের জন্য মরিয়া হয়ে তদবির করছে। সূত্রে জানা যায়, বাতিল হওয়া একজন পুরনো ও এম এস ডিলার ভিবিন্ন ভাবে মানুষ কে ফুসলিয়ে টাকার লোভ দেখিয়ে আট থেকে দশ জনের নামে আবেদন করেছে। এমনকি যারা আবেদন করতে এসেছে তাদের মধ্যে অনেকের সাথে কথা হয় জানতে চাওয়া হয় কি জন্য এসেছেন জবাবে তারা বলেন চালের আবেদন করতে এসেছি প্রশ্ন করা হয় এখানে কি চাল দেওয়া হয়? জবাবে অনেকে বলেন আসলে আমি এই ডিলার নিয়ে তেমন কিছু বুঝি না আগের ডিলার বড় ভাই এর সাথে এসেছি সব কাগজ পত্র বড় ভাই ঠিক করে দিয়েছে আমি শুধু জমা দিতে এসেছি। জানতে চাওয়া হয় যেখানে আবেদন জমা দিতে এসেছেন এই ডিলারের নাম কি? জবাবে তারা বলেন চালের ডিলার।আসলে তখনই বুঝাগেল অনেকে ভাড়াটিয়া আবেদনকারী। বাতিল হওয়া একজন পুরনো ডিলার কেন আট দশ জনের নামে আবেদন করেছে এ ব্যাপারে একজন পুরনো ডিলারের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান আমরা শুনেছি আবেদনকারী বেশি হলে লটারির মাধ্যমে সিলেকশন করা হবে তাই অন্তত একটা হলে লটারিতে লাগবে তাই ভিবিন্ন নাম দিয়ে একাধিক আবেদন করেছি। আবার অনেকে ভিবিন্ন দলের নেতা কর্মীদের ধরনা দিচ্ছে যেন তাদের মারফতে হলেও যেন সেই পুরনো মিষ্টি মাখা একটি ও এম এস ডিলারের লাইসেন্স পাওয়া যায়। গত সাত নভেম্বর ছিল ও এম এস ডিলারের লাইসেন্সের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন।

সূত্রে জানা যায় কক্সবাজার পৌরসভার বারোটি ওয়ার্ড়ের জন্য প্রায় একশত ছত্রিশ টি আবেদন জমা পড়েছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এম ডি আবদুর রহমানে কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান মাত্র ১২ টি ওয়ার্ড়ের একশত ছত্রিশটি আবেদন জমা পড়েছে এ আবেদন গুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে এক সাথে এত গুলো আবেদন কেন জমা পড়লো সেটা ও আমাদের কে ভাবিয়ে তুলেছে। তারপর ও কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সব কিছু হবে। আগামী সাপ্তাহে হইতো ডিসি স্যার সহ এ ব্যাপারে একটা সুন্দর সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে তিনি জানান। দেশের সাধারণ গরীব জনগনের কথা চিন্তা করে তৎকালীন সরকার খাদ্যশস্যের বাজার মূল্যের উর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ করে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে মূল্য সহায়তা দেয়া এবং বাজার দর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে( pfds) এর আওতায় খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন গত ৭ এপ্রিল ২০১৫ সালে। দেশের সব কটি পৌরসভায় দেওয়া হয় ও এম এসের ডিলার লাইসেন্স। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত ১২ টি ওয়ার্ড়ে ও দেওয়া হয় ও এম এসের ডিলার লাইসেন্স।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs