শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উখিয়া ইনানী মেরিনড্রাইভে ইয়াবাসহ একযুবতীকে আটক করেছে বিজিবি মাতারবাড়ীতে আগুনে পুড়ে ছাই এক বিধবা নারীর স্বপ্ন আরাকান আর্মির হাতে আটককৃত ২০ বাংলাদেশী জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি  গ্যাস ও এলএনজি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়ায় ধরা’র নৌ- মানববন্ধন কুতুবদিয়ায় সাংবাদিককে মারধরের মামলায় অভিযুক্ত প্রকৃত আসামীদের নাম বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়ার অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা বিরুদ্ধে টেকনাফে ৫ কোটির টাকার ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) জব্দ  জালালাবাদে রেমিট্যান্স যোদ্ধার বশত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ  রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল বেপরোয়া, রয়েছে পাহাড় সমপরিমাণ অভিযোগ  নিসচার ইতিহাস বদলে ফেলার অভিযোগ,জেলা প্রশাসকের কাছে কক্সবাজার জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের স্মারকলিপি প্রদান চকরিয়া থানা পুলিশের অভিযানে আটক-৮ চকরিয়া প্রতিনিধিঃ

ও এম এসের আটা চাল বিক্রয়ে ডিলারদের কারসাজিতে বাতিল হল সব লাইসেন্স!

হায়দার নেজাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৮ বার পঠিত
হায়দার নেজাম :
দেশের সাধারণ গরীব জনগনের কথা চিন্তা করে  সরকার খাদ্যশস্যের বাজার মূল্যের উর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ করে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে মূল্য সহায়তা দেয়া এবং বাজার দর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে( pfds) এর আওতায় খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন গত ৭ এপ্রিল ২০১৫ সালে।
 দেশের সব কটি পৌরসভায় দেওয়া হয় ওএমএস’র ডিলার লাইসেন্স। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত ১২ টি ওয়ার্ডে দেওয়া হয় ওএমএস’র ডিলার লাইসেন্স। তাদের মধ্যে ১ নাম্বার ওয়ার্ডডে মেসার্স বিবেক ট্রেডার্স সমিতি পাড়া, প্রোঃ দীপক দাস। ২ নাম্বার ওয়ার্ড়ে মেসার্স করিম ট্রেডার্স উত্তর নুনিয়ার ছড়া,প্রোঃ মোঃ আলম। ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে মেসার্স মমতাজ এন্টারপ্রাইজ,প্রোঃ আব্দুল গফুর। ৪ নাম্বার ওয়ার্ডে মোঃ ইসমাঈল ট্রেডার্স টেকপাড়া,প্রোঃ মোঃ ইসমাঈল। ৫ নাম্বার ওয়ার্ড়ে মেসার্স ইয়াছিন এন্টারপ্রাইজ উত্তর রুমালিয়ার ছড়া,প্রোঃ মোঃ ইয়াছিন। ৬ নাম্বার ওয়ার্ডে মেসার্স কাসেম এন্টারপ্রাইজ উপজেলা গেইট,প্রোঃ আবুল কাসেম। ৭ নাম্বার ওয়ার্ডে মেসার্স নাহার এন্টারপ্রাইজ রুমালিয়ার ছড়া, প্রোঃ নরুল হুদা।৮ নাম্বার ওয়ার্ডে মেসার্স জ্যোতিষী ট্রেড়ার্স গোলদীঘির পাড়। প্রোঃ শেফালী পাল। ৯ নাম্বার ওয়ার্ডে মেসার্স ইউছুপ এন্টারপ্রাইজ ঘোনার পাড়া।প্রোঃ ইউছুপ বাবুল।১০ নাম্বার ওয়ার্ড়ে মেসার্স মমতাজ ট্রেডার্স পিটিআই সড়ক। প্রোঃ মিনা মমতাজ। ১১ নাম্বার ওয়ার্ডে  মেসার্স কে স্টোর ঝাউতলা প্রোঃ তপন কান্তি দাশ।১২ নাম্বার ওয়ার্ডে মেসার্স আব্দুল হক কলাতলী। প্রোঃ শামসুল আলম।
 সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ ডিলার সকাল ১০ টার আগে কেউ ও এম এসের ডিলারের দোকান খুলছে না। আবার দোকান খুল্লে ও বেলা ১২ টার সময় বন্ধ করে চলে যাচ্ছে। আবার অনেকের দোকানের সামনে কোন উপকার ভোগী কে দেখা যাচ্ছে না। কয়েক জন  উপকারভোগীর কাছে জানতে চাওয়া হয়  ও এম এস ডিলারের এই অবস্থা কেন ? প্রথমে বক্তব্য দিতে না চাইলে ও নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক হয়ে অনেকটা ভয়ে মূখ খুলেন। তারা বলেন, এই ডিলার গুলো তাদের নিজস্ব গতিতে চলেন তারা কোন সরকারি আইন কানুন মানেন না তাদের ইচ্ছে হলে তাদের নিজস্ব সময়ে দোকান খুলেন। আমরা গরীব মানুষ বলে সেই সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থাকি এতে তাদের কিছু যায় আসেনা। দোকান খুল্লেও, শুধু ৫ কেজি আটা বা চাল দেয়। তখন তাদেরকে প্রশ্ন করা হয় আপনাদেরকে চাল আটা মিলিয়ে কত কেজি দেওয়া হয় জবাবে উপকার ভোগীরা জানান, চাল আটা এক সাথে দেওয়া হয় না কেউ চাল নিয়ে থাকে কেউ আটা নিয়ে থাকে একসাথে আটা ও চাল দেওয়া হয় না।এমনকি কাউকে একদিন দিলে তিন দিন পর আবার তাকে দেওয়া হয় একজন কে প্রতিদিন দেওয়া হয় না।কিন্তু ও এম এসের বিধিমালায়  একজন উপকার ভোগী কে প্রতি দিন ৫ কেজি আটা ও ৫ কেজি চাল দেওয়ার বিধান রয়েছে। এ ভাবে ৯ বছর ধরে ও এম এস ডিলারদের কারসাজির মধ্যে পার করলো সাধারণ জনগন। শুধু এটাই শেষ নয় অভিযোগ আছে  অনেকে তৎকালীন আওয়ামী সরকার আমলে ভিবিন্ন ভাবে তদবির করে অধিকাংশ লাইসেন্স হাতিয়ে নিয়ে যে যার মত করে সরকারের দেয়া আটা চাল সাধারণ গরীব জনগনের প্রাপ্য জনগণকে সঠিক ভাবে বিতরণ না করে রাতের অন্ধকারে বা দিনের আলোতে কোন আয়ন কানুন বা বিধিমালার নিয়ম নীতির  তোয়াক্কা না করে ভিবিন্ন ভাবে চাওলের গোদামে বস্তুা বস্তা আটা চাল  বিক্রি করে দেয়। অনেক সময় এ সমস্ত আটা চাল প্রসাশনের হাতে ধরা ও পড়েছে এবং জেল জরিমানা ও হয়েছে তারপর ও এই সিন্ডিকেটের শুভবুদ্ধির উদয় হইনি। তবে আসার আলো এখনো নিবে যায়নি। ২০২৪ এর নিতিমালায় অবশেষে দেশের সমস্ত ও এম এসের ডিলার বাতিল করলো ২০২৪ এর ড. মোঃ ইউনুস  সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ শে অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে কক্সবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে কক্সবাজার পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ড় থেকে নতুন ও এম এস  ডিলারের খূজে স্হানীয় পত্রিকায় বিগপ্তি প্রকাশ করলো। তবে থেমে নেয় সেই চিরচেনা আওয়ামী সিন্ডিকেটের দল। গত কাল কক্সবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কর্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় তারা আবার সঙ্গবদ্ধ হয়ে আগের ডিলারের নাম পাল্টিয়ে অন্য নামে ও এম এস ডিলারের লাইসেন্সের জন্য মরিয়া হয়ে তদবির করছে। সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকতা জানান বি এন পি, ও অন্যান্য দলের অনেক নেতা কর্মীর কাছে আগের ডিলাররা ধরনা দিচ্ছে। যেন যে কোন ভাবেই আবার সেই কাঙ্খিত ও এম এস ডিলারের লাইসেন্স পাওয়া যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs