শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস আর সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত-২ রামুতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ (আইডব্লিউআর) প্রকল্পের বাৎসরিক অগ্রগতি অবহিতকরন ও শিখন সভা অনুষ্টিত হয়। বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিবিআইইউতে পহেলা বৈশাখ পালন। রাঙামাটিতে পিসিসিপি’র বৈশাখী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত। মহেশখালীতে কথা কাটাকাটির জেরে ছাত্রলীগ কর্মীর লাঠির আঘাতে বিএনপির কর্মী নিহত, আটক-১। কাল থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে উখিয়ারসেই ১৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী রামুতে প্রবাসী যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু। গর্জনিয়া বিশাল তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে মুফতি আমির হামজা মহেশখালীতে পাহাড় কেটে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন রামু সমিতির সাধারণ সভা ও পরিবারিক মিলনমেলা অনুষ্টিত

ওসি প্রদীপকে কারাবিধি অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আদেশ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২২৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে কারাবিধি অনুযায়ী সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বরখাস্ত ওসি প্রদীপকে ডিভিশন দেওয়ার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কারাবিধি অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আদেশ দেন। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) এ হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফা সাক্ষ‍্য গ্রহণের সময় প্রদীপের আইনজীবী রানা দাশগুপ্তের ডিভিশন চেয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে সকাল ১০টা থেকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সিনহা হত্যা মামলায় ৫নং সাক্ষীর সাক্ষ‍্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত চার জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) চলছে ৫নং সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মামলার আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ সব আসামিকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় আদালতে আনা হয়। গত রবিবার আদালতে ৩নং সাক্ষী মোহাম্মদ আলীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এ ছাড়াও গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিন দিন মামলার ১নং সাক্ষী ও বাদী শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস এবং ২নং সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেন আদালত। গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় সে সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা করে। এরপর মেজর সিনহা নিহতের ছয় দিন পর লিয়াকত আলী ও ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনকারী আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। গত ২৪ জুন মামলার অন্য পলাতক আসামি টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আসামিদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া অন্য ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তদন্ত শেষে গত বছর ১৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন র‌্যাব ১৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs