জিয়াউল হক জিয়াঃচকরিয়া
চকরিয়া উপজেলার ১৭নং খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মোজাহের আহমদ এলাকাবাসী সহ পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য/সদস্যা,দফাদার,চৌকিদার,উদ্যোক্তা সবাইকে কাঁদিয়ে বদলীজনিত বিদায় নিয়েছেন।উনার স্থলাভিষিক্ত হলেন (সচিব) সালাহউদ্দিন কাদের।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টায় ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে বিদায় ও নবাগতের বরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহমান এর সভাপতিত্বে,নবাগত সচিব সালাহউদ্দিন কাদেরের সঞ্চালনায়,পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়।
বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা,বিদায় সচিব মোজাহের আহমদ ইউনিয়ন পরিষদের যোগদান করার পর থেকে অত্র পরিষদের জনসেবার দীর্ঘ এক যুগের বদনামটি দূর্বিত করেছিল।তিনি নিরলস পরিশ্রমে হাসিমুখে সকলের সেবা সঠিক সময়ে দিয়েছেন।কারো সাথে মনোমালিন্যতা নেই।যার সুষম বন্টন আর গুছালো কাজে দিয়ে এলাকাবাসীর মন জয় করেছেন।এই কারণে তাহার বিদায়ের কথা শুনে এলাকার সচেতন মহল সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ তাকে ফুলেল তোড়ক নিয়ে বিদায় জানাতে এসেছেন।তাই আমরা বিদায় সচিবের দীর্ঘায়ূ ও সুস্হতা কামনা রহিল।আমরা আশা করবো বরণ করে নেওয়া সচিব সালাহউদ্দিন যেন বিদায় সচিবের মত হয়ে পরিষদে থাকেন প্রত্যাশা রহিল।
সভাপতির বক্তব্যে চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহমান বলেন-আমি তিন বারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।আমার সাথে পরিষদে কাজ করতে গিয়ে এলাকাবাসী সহ পরিষদের সকলের মন জয় করেছেন বলতে না বলতে কেঁদে ফেলেন চেয়ারম্যান।এসময় হলরুমে উপস্থিত সকলই কান্নকাটি করেছেন।
কান্না জড়িত কন্ঠে চেয়ারম্যান আরো বলেন-২ বছর ৮ মাস পরিষদে থাকালিন,অত্র পরিষদের দীর্ঘ একযুগের সেবার বদনাম দূর্বিত করে এলাকার সেবাপ্রাপ্তি প্রত্যকের মনকে জয় করেছেন।সকাল ১১টার মধ্যে অফিস হাজির হয়ে রাত ৭টা পর্যন্ত কাজ সরে চলে যেতে।তাই সৎ,সদালাপী সচিবের জন্য প্রাণভরে দোয়া সহ দীর্ঘায়ু ও সুস্হতা কামনা করছি এবং নবাগত সচিব সালাহউদ্দিনকে হাসিমুখে বরণ করে নিলাম।তার কাছ থেকেও মোজাহেরের মত হয়ে কাজ করার অনুরোধ করছি।
অনুষ্ঠানে ইউপি সদস্য/সদস্যা,এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,সাধারণ জনগণ সহ সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।