স্পোর্টস ডেস্ক:
লিওনেল মেসি এসেছিলেন দলের হয়ে প্রথম পেনাল্টি নিতে। গোলরক্ষক আলেকজান্ডার ডমিঙ্গেজকে ভুল পথে পাঠিয়েছিলেন বটে। কিন্তু তার শট বারপোস্টে লেগে চলে যায় ওপরে। কিন্তু পেনাল্টিতে আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে আরও একবার নায়ক বনে গেলেন এমি মার্টিনেজ। ইকুয়েডরকে ৪-২ ব্যবধানে পেনাল্টিতে হারিয়ে সেমিফাইনালে গেল আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনা ছন্দ-ছন্দে খেলে প্রথম আক্রমণটা শাণায় ম্যাচের ২৭তম মিনিটে। তবে লাহুয়েল মলিনার ক্রসে হেড দিয়েও জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ হন এনজো ফার্নান্দেজ। ৩৪তম মিনিটের মাথায় মেসির পাস থেকে শট নিয়েছিলেন এনজো। তবে প্রতিপক্ষের একজন খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে সেটা লক্ষ্যচ্যুত হয়।
অবশেষে ৩৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে বল উড়িয়ে দিয়েছিলেন মেসি। ডি-বক্সের ভেতরেই মাথা ছুইয়ে সেটার দিক বদলে দেন ম্যাক অ্যালিস্টার। একদম মোক্ষম জায়গায় বল পেয়ে মাথার আলতো ছোঁয়ায় জাল খুঁজে নেন লিসান্দ্রো। বাকি সময়ে আর গোল না হওয়ায় এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
বিরতির পর গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ইকুয়েডর। ম্যাচের ৬২ মিনিটে কর্নার পেয়েছিল ইকুয়েডর। তবে সেটা ঠেকাতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবেই বল লাগে রদ্রিগো ডি পলের হাতে। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সে পেনাল্টিটা নিতে আসেন অভিজ্ঞ এনার ভ্যালেন্সিয়া। পেনাল্টিতে অভিজ্ঞ এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে তিনি ধোঁকাটা দিয়েছেন বটে, কিন্তু বলটা রাখতে পারেননি লক্ষ্যে। বলটা বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফলে গোল হজম করা থেকে রক্ষা পায় আকাশী-সাদারা। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর। ফলে ম্যাচ গড়ায় ট্রাইবেকারে। সেখানে ৪-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসির আর্জেন্টিনা।